দুই চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে কর্মবিরতি

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই চিকিৎসকের ওপর হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি। বুধবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসকরা। একের পর এক চিকিৎসকের ওপর হামলা ঘটনা ঘটলেও উপযুক্ত বিচার না হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েই চলছে।
চিকিৎসকদের ওপর যে হামলাগুলো হচ্ছে, এর অন্যতম কারণ হলো বিচারহীনতার সংস্কৃতি। একটা ঘটনার যদি বিচার না হয়, অপরাধীরা যদি ছাড় পেয়ে যায়, তাহলে সন্ত্রাসীরা আরো দুঃসাহস দেখাবে। সার্বিকভাবে চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে খুবই অনিরাপদ। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় শক্তিশালী একটা আইন হোক। চিকিৎসকদের মধ্যে যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা কাজ করে, তাহলে তাদের কাছ থেকে কখনোই ভালো চিকিৎসাসেবা আশা যাবে না। ফলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তম‚লক শান্তির জোর দাবী জানাচ্ছি। পটিয়া ও মেডিকেল সেন্টারের ঘটনায় আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে সর্বাত্মক কর্মবিরতির মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
পরে চিকিৎসদের ওপর হামলার বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিএমএ নেতা ও স্বাচিপ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম। তিনি বলেন, আমার নিরাত্তাহীনতায় ভুগছি। চিকিৎসকরা অনিরাপদ থাকলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে। আমরা এমন ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান, ডা. আবুল কাসেম মাসুদ, ডা. আরিফুল আমিন, ডা. রেজাউল করিম, ডা. মনিরুল ইসলাম, ডা. মনিউজ্জামান প্রমুখ।
গত ১১ এপ্রিল রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ (২৯) এর ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এর দুইদিন পর ১৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে হামলা শিকার হন চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।