দীঘিনালায় কুরবানির গরুর দাম চড়া

133

মুসলমানরা মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা মহান আল্লাহ নামে প্রতিবছর হালাল পশু কুরবানি দিয়ে থাকে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় নিয়মিত ৪টি পশুর হাট বসে তার মধ্যে বাবুছড়া বাজার, মেরুং বাজার, দীঘিনালা বাজার ও বোয়ালখালী নতুন বাজার। কুরবানির উপলক্ষে ৪টি বাজারের মধ্যে বেশি গরু বেঁচা কেনা হয় বোয়ালখালী নতুন বাজারের। বোয়ালখালী নতুন বাজারের কুরবানির গরু ক্রয় করে সমতল নিয়ে বিক্রয় করতে অনেক পাইকার আসে। শনিবার বোয়ালখালী নতুন বাজারের সমতল থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার গরু কিনতে এসে বলেন, পাহাড় অঞ্চলের গরু সমতলে চাহিদা বেশি, দেখতেও সুন্দর তবে দাম একটু বেশি।
উপজেলার হাজাছড়া জোড়াব্রিজ এলাকা থেকে শনিবার বোয়ালখালী নতুন বাজারের গরুর হাটে গরু বিক্রি করে সাধন চাকমা বলেন, আমি প্রতি বছর দুই একটা ষাঁড় বিক্রি করি? গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। এবছর আমি একটি গরু ৬৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সুরুজ জামাল বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর গরুর দাম একটু বেশি। তবে আকারভেদে ছোট গরুর দাম ২৫-৩০হাজার, মাঝারি আকারের গরুর দাম ৫৫-৬৬হাজার টাকা, বড় আকারের গরুর দাম ৯৫-১২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা কিনা হচ্ছে। বায়ালখালী নতুন বাজারের সবচেয়ে বড় গরু ব্যবসায়ী মো. আব্দুল বারেক বলেন, আমি প্রতিবছর এখান থেকে পাইকারি গরু কিনে চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করি। সমতলে পাহাড়ি অঞ্চলে গরুর চাহিদা বেশি। পাহাড়িরা গরু মোটাতাজা করতে কোন প্রকার মেডিসিন প্রয়োগ করে না। প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ের গাছ-লতাপাতা খেয়ে মোটাতাজা হয়। গত বছরের চেয়ে এবছর গরুর দাম অনেক বেশি।