সরকার উপজেলায় একটি বাজারকে উন্নয়নের আওতায় এনে তার আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যুগোপযোগী ও স্থাস্থ্যোজ্জ্বল ব্যবহারের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে প্রেক্ষিতে নিবেদন জানাই- ৫নম্বর কালীপুর ইউনিয়নের রামদাস মুন্সির হাট উপজেলার সবচাইতে পুরানো ও মধ্যভাগে রাস্তার দুপাশে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বাজারই সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে খাঁক করেছিল পাকহানাদার বাহিনী ও দোসররা। বাজারের বিস্তৃতি উত্তর দক্ষিণ নুর জাহান কমিউনিটি সেন্টার থেকে খাসমোহলের উত্তর পাশ ডলমপীর মাদ্রাসার অনতিদূর পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার। খাসমহাল চৌরাস্তার মোড় পূর্ব-পশ্চিম সংযুক্ত করেছে কেরানীহাট-সাতকানিয়া-খানখানাবাদ রাস্তা দিয়ে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত। আর উত্তর দক্ষিণ চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালী-চকরিয়া-মহেশখালী রাস্তার সংযুক্তি। এই খাসমহাল চৌরাস্তায় প্রতিদিন সকাল বিকাল বাজার বসে। এই ইউনিয়নে রয়েছে ওয়াপদা ডিভিশনাল অফিস, ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, তহসিল অফিস, ডাকঘর, চেয়ারম্যান কার্যালয়, প্রথম প্রতিষ্ঠিত বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ, দুটি হাইস্কুল, একটি গার্লস স্কুল, দুটি মাদ্রাসা, একটি ব্যাংক, একটি আধুনিক হাসপাতাল, দুটি বহুতল উন্নত মার্কেট। রয়েছে শাহ্ বদিউল আলমসহ চৌদ্দ জন অলির মাজার, একটি ক্যাথলিক চার্চ, একটি কালী মন্দির ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত সাতদিন ব্যাপি কুম্বমেলার আয়োজনকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান “ঋষীধাম”- অনন্য সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। রয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প। দৈনিক হাজার হাজার মানুষের আনাগোনায় কর্মচঞ্চল থাকে এই বাজার, এই অঞ্চল।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আবদুল করিম বাঁশখালীর ৪ নম্বর ইউনিয়ন বাহারছড়ার ইলশা গ্রামের ‘বখ্শী হামিদের মসজিদ’কে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহেৃর ধারক সুলতানী আমলে ১৫৬৮ খিষ্টাব্দে নির্মিত বলে চিহ্নিত করেছেন মসজিদে রক্ষিত শিলালিপির পাঠোদ্ধারে। মসজিদের সামনে ও দুপাশে মোট তিনটি দিঘীসহ বিশাল এলাকা এ মসজিদ সংশ্লিষ্ট বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা বাঁশখালীর ইতিহাসের সাক্ষী এ মসজিদকে মডেল মসজিদ হিসেবে অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন এবং বৃটিশবিরোধী স্বরাজ আন্দোলনখ্যাত ও মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্থ ঐতিহাসিক রামদাস মুন্সির হাটকে মডেল/ উন্নত বাজার করে বাঁশখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি সানুগ্রহ দৃষ্টি প্রদান করে বাঁশখালী বাসীকে ধন্য করবেন।
বাঁশখালী বাসীর পক্ষে,
এ ওয়াই এমডি জাফর, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।