চন্দনাইশে সবজির দাম কম কৃষকেরা বেকায়দায়

41

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভান্ডার নামে খ্যাত দোহাজারী শঙ্খ তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর সবজির চাষ হয়েছ্।ে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশিতে থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে সবজির দাম কমে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে কৃষক সমাজ। গত শানিবার মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে জন জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের রাখতে হোম কোয়ারেন্টাইন, লকডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয় সরকার। উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী, লালুটিয়া, রায়জোয়ারা, ধোপাছড়ি, বরমা, চরবরমা, বৈলতলী, পাহাড়ী এলাকা লর্ড এলাহাবাদ, সৈয়দাবাদ, কাঞ্চননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সবজির চাষ হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এসকল এলাকার উৎপাদিত সবজি চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পূর্বের মত না যাওয়ায় দাম কম পাচ্ছেন কৃষকেরা। তাছাড়া এখানকার উৎপাদিত সবজি চট্টগ্রাম মহানগরে ৩ গুন দামে বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমানে চন্দনাইশের দোহাজারী রেলওয়ে ষ্টেশন পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫-৬ টাকা, টমেটো ২-৩ টাকা, বরবটি ১৫ টাকা, ঢেড়ঁশ ২০ টাকা, মুলা ১০, তিতকরল ১৫-২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি ১০-১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০ টাকা, শিম ১০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৬-৭ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা তাদের খরচ পুঁষিয়ে লাভের মুখ দেখছেনা বলে জানালেন কৃষক মো. সোহেল। দোহাজারী শঙ্খ তীরবর্তী এলাকার কৃষক এম.এ. ফয়েজ বলেছেন, তিনি ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকায় ৩ কানি জমি সবজি চাষের জন্য নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেগুন, টমেটো, বরবটি রোপন করে ফলন পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু দাম কম হওয়ায় খরচ পুঁিষয়ে লাভের মুখ দেখবেনা বলে হতাশা প্রকাশ করলেন তিনি। একইভাবে করিম ও আলিম ১ কানি করে খাজনা দিয়ে সবজি চাষের জন্য জমি নিয়ে বেগুন, মিষ্টি কুমড়া চাষ করে ফলন পেলেও দাম কম হওয়ায় কীটনাশক, সার, শ্রমিক মজুরী, জমির খাজনা পুঁিষয়ে লাভবান না হয়ে লোকসানে পড়েছেন বলে জানালেন।