চন্দনাইশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে স্টেডিয়াম

59

চন্দনাইশ পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্টেডিয়াম। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি, বিজিএমই’র পরিচালক, চন্দনাইশ সদরস্থ কাশেম-মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়, মাহবুব-নাহার টেকনিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, শাহ-আমিন উল্লাহ (র.) হেফজ ও এতিমখানার পরিচালক, চন্দনাইশ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃৃষ্টপোষক আবদুল মাবুদ চৌধুরী মাহবুব ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫ একর জমির উপর স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। প্রায় ১০ কোটি টাকায় ক্রয়কৃত ৫ একর জমিতে ইতোমধ্যে ৬ লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করে স্টেডিয়ামের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া স্টেডিয়ামের এক পাশে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গ্যালারি নির্মাণের কাজও সম্পন্ন করেছেন।
মাহবুব চৌধুরী বলেছেন, এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে কর্মীর হাতে রূপান্তর করার জন্য তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সে কারণে তিনি এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি কলেজ, হেফজখানা, নুরানী কিন্ডার গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেছেন। সে সাথে এলাকার যুব সমাজকে মাদকের আগ্রাসন থেকে মুক্ত রাখতে খেলাধুলার সু-ব্যবস্থার লক্ষ্যে প্রায় ৫ একর জমি ক্রয় করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশা পাশি যুব সমাজ ক্রীড়ায় তাদের নৈপূর্ণতার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে। সরকার চাইলে তিনি এ স্টেডিয়ামটি হস্তান্তর করবেন বলে জানান। তিনি তার নিজের নামে নামকরন করে স্টেডিয়ামের নাম রেখেছেন মাহবুব চৌধুরী স্টেডিয়াম।
চন্দনাইশের আয়তন অনুসারে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ না থাকায় খেলোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে না। সে সাথে ক্রীড়ামোদি শিক্ষার্থীরা তাদের অনুশীলনের জন্য সুযোগ পাচ্ছে না। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে যে সকল খেলার মাঠ রয়েছে, সেখানে পূর্ণাঙ্গ মাঠের জায়গা না থাকায় যেন তেন ভাবে চলছে খেলাধুলা। উপজেলার গাছবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ যৌথভাবে একটি মাঠ রয়েছে। একইভাবে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতবাড়িয়া কলেজ যৌথভাবে দু’টি মাঠ ছাড়া আর কোন পূর্ণাঙ্গ মাঠ নেই।
এ সকল মাঠগুলোও উপজেলা বা সরকারি পর্যায়ে কোন সময় বরাদ্ধ দিয়ে সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ সকল মাঠগুলো খেলাধুলা চর্চার জন্য উপযোগী নয় বলে জানিয়েছেন ক্রীড়াবিদরা। চন্দনাইশে খেলাধুলার জন্য সরকারিভাবে কোন মাঠ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সরকার ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। চন্দনাইশে জায়গার স্বল্পতার কারণে এখনো সে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ মূহুর্তে বেসরকারিভাবে নির্মিত স্টেডিয়ামটি সরকারি পর্যায়ে নিয়ে আধুনিক ও নান্দনিক স্টেডিয়াম হিসেবে রূপান্তর করলে এলাকার ক্রীড়ামোদি মানুষ ও খেলোয়াড়রা উপকৃত হবে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেছেন, একজন এলাকার ধণাঢ্য, শিক্ষানুরাগী, ক্রীড়ামোদি, সমাজকর্মী তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সরকারিভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে স্টেডিয়ামটি চন্দনাইশের একটি আধুনিক স্টেডিয়াম হিসেবে রূপান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
ইতোমধ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করায় আরো সহজতর হলো মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের।