চন্দনাইশে ধর্ষণ মামলার আসামিসহ আটক ২

6

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার আসামিসহ ২ জনকে আটক করে। গত ১ মার্চ ভোর রাতে পশ্চিম এলাহাবাদ থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি মো. তৌহিদুল ইসলামকে (২৬) আটক করে পুলিশ। সে পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়াপাড়ার নুরুল আলমের ছেলে বলে জানা যায়। মামলা সুত্রে জানা যায়, মুরাদাবাদের ছদ্ম নাম রোজিনাকে বিগত ১৪ ফেব্রæয়ারি ভালোবাসা দিবসের দিন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পটিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ২৫ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ২ জনে একসাথে থাকার পর কাবিননামা সম্পাদন না করায় কৌশলে পালিয়ে আসে রোজিনা। পরে বাড়িতে এসে ঘটনা খুলে বললে তার পিতা বাদি হয়ে গত ২৮ ফেব্রæয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে গতকাল ১ মার্চ ভোররাতে তৌহিদুল আলমকে আটক করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুশ শুক্কুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন তৌহিদুল আলম বিবাহিত। সে ইতিপূর্বে একই ধরনের ঘটনা সংগঠিত করলে সে মহিলাকে বিয়ে করে বর্তমানে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মেয়েটি প্রেমঘটিত কারণে তৌহিদের সাথে গত ১৪ ভালোবাসা দিবসের পালিয়ে গিয়ে ২৫ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ছিল। পরে সেখান থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। এ বিষয়ে ভিকটিম রোজিনা গত ১ মার্চ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২২ ধারা মতে জবানবন্দি দিয়েছে। গত ২৮ ফেব্রæয়ারি ভোর রাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলে দোহাজারী সদরের মৃত শেখের আলীর ছেলে মো. ইয়ার আলী শেখকে আটক করে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।