চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২০০০ ব্যাচের বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী

13

 

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন আর আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-২০০০ ব্যাচের ‘পুনর্মিলনী’। পবিত্র ঈদুল আজহার পরদিন গত সোমবার চকরিয়ার নতুন পর্যটন স্পট সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ‘নিভৃত নিসর্গে’ এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, স্কুলজীবন শেষ হওয়ার দীর্ঘ প্রায় বাইশ বছর পর এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। ওইদিন সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর গাড়িযোগে সবাই নিভৃত নিসর্গে পৌঁছায়। প্রায় বাইশ বছর পর ব্যাচের বন্ধুরা একে অপরের সাক্ষাৎ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরস্পরকে বুকে টেনে আলিঙ্গন করে একে অন্যের খোঁজ খবর নেন। এরপর লাকী কূপন ড্র, আনন্দ উচ্ছ্বাস আর ফুটবল গেমসহ নানা আনন্দ আয়োজনে মেতে উঠেন বন্ধুরা। দুপুরের এক সাথে খাবার গ্রহণের পর স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাচের বন্ধু মুনির উদ্দীন ইউছুফের পরিচালনায় আলোচনা অংশ নেন শহীদুল ইসলাম ফোরকান, মো. জুনাইদ উদ্দিন, আমিরুল কবির সুজন, আবু মোশাররফ, বিকাশ কান্তি দাশ, মো. আলী শাহীন প্রমুখ।
বন্ধুরা তাদের বক্তব্যে এ ধরনের পুনর্মিলনীর আয়োজন যাতে প্রতি বছর করা যায় সে বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনেকে তাদের স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণও করেন। পরে সবার মতামতের ভিত্তিতে ব্যাচের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। মুনির উদ্দীন ইউছুফ ও মো. নজরুল ইসলামকে উপদেষ্টা, শহীদুল ইসলাম ফোরকানকে আহ্ববায়ক এবং পাঁচজনকে যুগ্ম আহ্ববায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। যুগ্ম আহ্ববায়করা হলেন- মো. জুনাইদ উদ্দিন, বিকাশ কান্তি দাশ, এম কে মোহাম্মদ মিরাজ, কামরুল হোসাইন তুহিন, আবু মোশাররফ ও নাদিম সাত্তার শাওন।
বিকালে সুরাজপুর থেকে পার্বত্য লামা উপজেলা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীতে নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। নদীর দুইপাড়ে বন-বনানী আর পাহাড়ের মেলবন্ধনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুনর্মিলনীর আয়োজন। বিজ্ঞপ্তি