গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন মহেশখালীতে সেতু ও সড়ক নির্মাণ

88

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ খুইশ্যারমারপাড়া এবং ছোট মহেশখালী ইনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্ত হয়ে ভাগ্যো পরিবর্তন হয়েছে। দুই গ্রামের মধ্যে খানে তৎকালীন সময় থেকে বরুনাঘাট নামক খাল হয়ে জোয়ারের পানি আসা যাওযা করত, অদ্যবধি তা চলমান। গ্রামের সাধারণ লোকজন কোনমতে বাঁশের সাখো তৈরি করে ভোগান্তির মধ্যেদিয়ে পারাপার করতো। বিষয়টি আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক এমপি মহোদয়কে অবহিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি ওমর ফারুক। এমপি মহোদয় সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক উক্ত দুইটি গ্রামের জনসাধারন দুঃখ দুরদর্শা হতে মুক্তি পেতে দ্রæত সময়ে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্দেশ দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের ১৫-১৬ অর্থ বছরের বরাদ্ধ হতে ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪০ফুট দৈর্ঘ্য, ১৪ ফুট প্রস্থ, উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সেতু/ কালভাটটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়।
দুইটি গ্রামে সংযোগ সেতুটি নির্মাণ শেষে ১৪ ফুট প্রস্থ, প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য কাঁচা সড়ক তৈরী করা হয়। যা দিয়ে গ্রামের মানুষ অনায়াসে চলাচল করতে পারছে। বদলে গেছে গ্রামের চিত্র। গ্রামে তৈরি হচ্ছে ইট পাথরের দালানবাড়ী। সেতু ও সড়ক টি বাস্তবায়ন করা হয় মহেশখালী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম সাকিবের কার্যালয় হতে। নির্মাণ কাজে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি ওমর ফারুক। মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সহজে যাতায়াত করতে পারছে। মহেশখালী পৌরসভাস্থ পুটিবিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল গফুর জানান, প্রাচীন কাল হতে দুটি গ্রামের মানুষ বহু কষ্টে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক এমপির হস্তক্ষেপে সেতু এবং সড়কটি নির্মান হওয়ায় গ্রাম দুটি শহরের রূপ নিচ্ছে। গ্রামে তৈরী হচ্ছে বড় বড় দালান বাড়ী। খুইশ্যামার পাড়াস্থ রবিউল নামের এক স্কুল ছাত্র জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর, ঠিকই আমাদের অজপাড়া স্যাঁতসেঁতে গ্রামটিতে সড়ক ও সেতু নির্মাণ হওয়ায় গ্রামটি শহরে পরিণত হচ্ছে। আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক এমপির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার মা, দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল মোতালেব জানান, আলহজ আশেক উল্লাহ রফিক এমপির হস্তক্ষেপে সমস্ত মহেশখালীতে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। বাঁশের সাকোঁ দিয়ে পারাপার করার সময় কত বয়স্ক লোক সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছিল তা জানা নেই। সেতু নির্মাণ হওয়ায় আর কষ্ট নেই। এখানে রিক্সা, সিএনজি অনায়াসে চলাচল করছে।
কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরী হওয়া রস্তাটি ইট/ধূনা দিয়ে সংস্কার হলে নির্মাণকৃত সড়কটি আর ভাঙ্গবেনা হবে না বলে জানান তিনি। স্থানীয় জনসাধারণ ভাষ্য মতে সেতু এবং সড়ক নির্মাণ হওয়ায় দু’গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াত সুবিধা হওয়ায় আতœীয়তার বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। সড়ক ও সেতু/কালভাটটি নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে গ্রামবাসী।