গঠনমূলক সমালোচনা করুন ইসি নিয়ে

36

বিএনপি’র অবস্থা এখন নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে দলটির প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বাদ দিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ,জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরী, অভিনয় শিল্পী শাকিল খান, শাহনূর, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেলসহ অন্য নেতাকর্মীরা। খবর বাংলানিউজের
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি জানি তিনি যদি এ বিষয়ে বেশি কথা না বলেন, তাহলে ওনার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হতে পারে। এজন্য ওনাকে বলতে হয়। তাই বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।
নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। নির্বাচন কমিশন তো সরকার গঠন করে দেয়নি। এই নির্বাচন কমিশন গঠন করার সময় একটি কমিটির মাধ্যমে ও জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল। সেখানে বিএনপির প্রস্তাবনা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনারও আছেন। অথচ আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনা থেকে কোনো কমিশনার সেখানে স্থান পাননি। আসলে নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। এই হচ্ছে বিএনপির বক্তব্য। জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন তারা নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো প্রশ্ন তুলছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাবো নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে নীতি আপনারা অনুসরণ করছেন, আপনারা এই নীতি থেকে সরে আসুন। আমরা চাই একটি শক্তিশালী দল হিসেবে বিএনপি থাকুক এবং আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করুক। আমি আহবান জানাবো আপনারা পার্লামেন্টে আসুন। এখন যেমন রাজপথে সমালোচনা করছেন, তার পরিবর্তে পার্লামেন্টে এসে সমালোচনা করুন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা অনেক পুরনো। ওনার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এই ব্যথা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। এটি কোনো নতুন অসুখ না, এরপরও ওনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। সে কারণে তার এই হাঁটুর ব্যথা পুরনো হলেও তাকে আরো ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) যখন অসুস্থ, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন তো তাকে কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হয়নি, তাকেও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয়েছিলো। তার চিকিৎসা যে বিশ্বমানের হয়েছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসা যে বিশ্বমানের, সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক দল, এমনকি দেবী শেঠী এসেও বলেছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থাকে বড় করে দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহবান জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ডাকসু নির্বাচনে দলের সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করতে হবে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বিজয়ে যারা ভ‚মিকা রেখেছেন, ডাকসুতে ছাত্রলীগের যে প্যানেল, রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদের পক্ষেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবেন। এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করতে চাই। ছাত্র সমাজকে আমার মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চাই। এ নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত যারা আছেন, তারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-বন্ধু, নেতা-কর্মীরা এই প্যানেলের পক্ষে ভোট চাইবেন। ডাকসু নির্বাচনে আমরা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করি বলেও জানান তিনি।