করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

5

করোনা মোকাবেলায় বান্দরবানে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় সভা করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা। গত ২৬ জুলাই দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার সাতটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সদর হাসপাতালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সদস্যরা কিভাবে কাজ করছে এবং আগামীতে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কি করণীয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রæ মারমা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম চৌধুরী, সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, সদস্য গাব্রিয়েল ত্রিপুরা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের লেভেল অফিসার মোশারেফ হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। এদিকে কোভিট-১৯ মোকাবেলার আলোচনা সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, করোনার শুরু থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সদস্যরা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্ধয় করে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ সমন্ধয় এর ফলে বান্দরবানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকাংশে কম হচ্ছে এবং মৃত্যু ও কম। তিনি আরো বলেন, দেশের এ দুর্র্যোগ মহুর্তে আমাদের সকলকে সমন্ধয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং কোভিড মোকাবেলা করে একটি সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানের সাতটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সদর হাসপাতালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সদস্যরা অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে। করোনা রোগীদের প্রয়োজনে বিনামুল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদানে কাজ করছে এ ইউনিট, তাছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা এবং ভ্যাকসিন নিতে আসা জনসাধারণকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সদস্যরা বিনামুল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তাদের কর্মকাÐ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বান্দরবান সদর হাসপাতাল এর প্রাঙ্গনে একটি অপেক্ষাগার স্থাপনের কাজ করছি এবং এই অপেক্ষাগার এর কাজ শেষ হলে সেখানে হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষ সুশৃংঙ্খলভাবে বসতে পারবে এবং নিরাপদে অবস্থান করে ভ্যাকসিন নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফেরত যেতে পারবে।