আত্মহত্যা কমাতে মানসিক স্বাস্থ্যে সচেতন হতে হবে

21

একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য তার শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা শারীরিক অসুস্থতার মতোই বাস্তব। সম্পর্কের টানাপোড়ন, পারিবারিক সমস্যা, অভাব অনটন থেকে শুরু মানসিক চাপ আর অশান্তি যার ফলে আত্মহননের দিকে পা বাড়াচ্ছে তরুণরা। পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ়করণ ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। পরিসংখ্যান মতে ২০২০ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৭৯ জন মানুষ আর ২০২১ সালে ১০১ যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। যার মধ্যে অধিকাংশ ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বিষণœতা থেকে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। বিষণœতা দূও করতে খেলাধুলা, শখের বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব বাড়াতে হবে। মাদকাসক্তি বা ইন্টারনেটে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি রোধ করতে হবে। আতœহত্যাকে না বলে আত্ম বল নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার মানসিকতা তৈরিতে সরকারি ও সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি আত্মহত্যা রোধে ভূমিকা রাখবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা গেলে এটি ইতিবাচক সাড়া পাবে।

ইকরাম হোসেন অভি
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়