নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের মাঝে সহায়তা হিসেবে নগদ ২ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল প্রদান করেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বই পুড়ে যাওয়ার আকুতি শুনে একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর হাতে এক সেট নতুন বই ও নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অসুস্থ মেয়ে অর্পিতা দাশের অস্ত্রোপচারের জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে-মা সুগন্ধা দাশের এমন আকুতি শুনে ছুটে যান জেলা প্রশাসক আবুলবাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় মেয়ে অর্পিতার চিকিৎসার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা সুগন্ধা দাশের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে তিনি অর্পিতার চিকিৎসায় উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
অগ্নি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন মা সুগন্ধা দাশ। কিন্ত আগুনে সে টাকাটা পুড়ে যায়। আমরা গণমাধ্যমে খবর দেখার পর এই মাকে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি আমি বন্দর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব, যাতে কম খরচে কিভাবে অর্পিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ডিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্বামীহারা সুগন্ধা দাশ।
ডিসি আরও বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে সেটি আমরা দেখবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আপনাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছি। যাদের ঘর পুড়ে গেছে তাদের ঘর নির্মাণে আমরা সহযোগিতা করবো। মানুষ মানুষের জন্য। এ দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তায় অনেকে এগিয়ে এসেছেন। তাদের ধন্যবাদ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোরশেদ খান, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফন্নেছা দোভাষ বেবী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
