রামুতে সাংসদ কমল সামাজিক উন্নয়নে ‘প্রজন্ম ৯৫ এর অবদান অনুকরণীয়

29

কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, বন্ধুত্বের বন্ধন সুদৃঢ় রেখে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রজন্ম ৯৫। শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ সংগঠনটি সমাজের উন্নয়নের যে কাজ করছে এটি অনুকরণীয়।
শুক্রবার রাতে রামু স্বপ্নপুরী কমিউনিটি সেন্টারে রামুর প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন প্রজন্ম’ ৯৫ শিক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত প্রজন্ম ৯৫ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ,ক্রেস্ট ও বৃত্তি প্রদান ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি কমল আরও বলেন,এসএসসি পাশের পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বন্ধুত্বের চর্চা রামুতে প্রজন্ম ৯৫ একটি অনুকরণীয় নাম। প্রজন্ম ৯৫-এর মতো সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে ভাল কাজ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি আমরা রামুকে শিক্ষার নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। সমুদ্র শহর এবং স্বাস্থ্যকর স্থান হিসাবে কক্সবাজার সারা বিশ্বে পরিচিত। সবকিছু বিবেচনায় কক্সবাজার এখন পর্যটকদের কাছে দার্জিলিং-এর মতো। পাশাপাশি রামুও এখন পর্যটকদের কাছে কম আকর্ষণের নয়।
প্রজন্ম’৯৫ এর সভাপতি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর (মানব সম্পদ) ফয়সল ওবাইদ রুমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কক্সবাজার-এর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শাজাহান আলী, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রজন্ম ৯৫ এর উপদেষ্ঠা বদিউল আলম পাভেল, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা,রামু উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এড. আবুল মনসুর, রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হক, রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাইথোয়াহ্লা চৌধুরী, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রজন্ম ৯৫ এর সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন, বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কিশোর বড়ুয়া প্রমুখ।
সবশেষে অতিথিবৃন্দ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১১জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রজন্ম ৯৫ পরিবারের দুইশতাধিক সদস্যসহ রামুর সুশীল সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন।
উল্লেখ্য ২০১৪ সাল প্রজন্ম’৯৫ রামুর রামুর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রজন্ম’৯৫ শিক্ষা ট্রাস্ট এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে তিনজনকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৮জনকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি দেওয়া হয়।