রাঙামাটি জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা

46

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গণমানুষের কল্যাণে ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও উন্নয়নশীল দেশ রূপান্তরের যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি। রবিবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হ্লা খই, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল সহ পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন জনকল্যাণে কাজ করার জন্যে। কল্যাণকর মনোভাব ও নীতি সঠিক রেখে আমাদের সেভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, জেলার সমস্যাগুলো তুলে ধরে তা সমাধানের লক্ষ্যেই এই সভা প্রতি মাসে করা হয়। তাই প্রতিটি সভায় উপস্থিত থেকে সমস্যা, সম্ভবনা ও সমাধানের বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সভায় রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখা। তাই আইন-শৃংখলা যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে পুলিশ বিভাগ তৎপর রয়েছে।
সভায় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, এ জেলার প্রাইভেট সেক্টরের পাশাপাশি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেম্বার অব কমার্স কাজ করে যাচ্ছে।
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে এখন বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে টার্গেট করে জঙ্গী হামলা হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামরা বসানো ও অপরিচিত লোক দেখলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার, আগামী জুন মাসের মধ্যে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে তা পরিশোধ করার অনুরোধ জানান। এছাড়া এলজিইডি’র কর্মকর্তা ফারুক আহমদ, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারী মার্কেটিং অফিসার বৃন্দাবন হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।