রাঙামাটি আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ঊষাতন তালুকদারের

45

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ২৯৯-পার্বত্য রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে ভোটকেন্দ্র দখল করে অবাধ জালভোট প্রদান ও ভোট ডাকাতিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন জনসংহতি সমিতি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি অবিলম্বে ফলাফল বাতিল দাবি করে বলেন, অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ সময় নির্বাচনকালীন আটক করা তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আসনটির সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। এ সময় জনসংহতি সমিতির উপদেষ্টা ধীর কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা চাইথোয়াই মারমা, সৌখিন চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কিশোর কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সভানেত্রী জয়ীতা চাকমাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঊষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্র দখল করে জালভোটের ছড়াছড়ি ছিল নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের ওপর হামলা করে তাদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা ঢুকেছিলেন তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।
ভোট দেয়া হয়ে গেছে বলে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ফেরত পাঠায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাত্তাবাহিনী। পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
নজিরবিহীন এই ভোট ডাকাতির নির্বাচন কখনও-ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা রাঙামাটি জেলাবাসী কখনও-ই মেনে মেনে নেবে না। তাই দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং রাঙামাটি জেলাবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ২৯৯-রাঙামাটি আসনের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করতে হবে। আমি ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করছি।