রাঙামাটিতে আ.লীগ বনাম জেএসএস লড়াই

40

আগামী ১৮ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা। ভোটাররা ধারণা করছে সদর উপজেলাতে বাঙালি ভোটার সংখ্যা বেশি, যে কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ের সম্ভাবনা অনেকটা রয়েছে। আবার অনেক ভোটার মনে করছে পাহাড়িরা সদরে ভোটার সংখ্যা কম হলেও তারা একতাবদ্ধ রয়েছে, তাদের ভোট অন্য কোথাও যাবে না। যার কারণে গতবারের মত জেএসএস জয়লাভ করবে। তবে এবারের যোগ বিয়োগ একটু অন্য রকম। এবার মাঠে বিএনপি নেই সে কথা মাথায় রেখে সদরে একজন বাঙালি প্রার্থী দেয়া হয়েছে, যার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়লাভ করা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। আমরা যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবি, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। এসব জল্পনা কল্পনা করছে রাঙামাটি সদর উপজেলার ভোটারা। আবার অনেকে মনে করেছেন- গত ৫বছরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান- সদর উপজেলায় জনস্বার্থে কোন কাজকর্ম করতে পারেনি। তাই ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে ভোট দিলে হয়তো বা কিছু উন্নয়ন করা সম্ভাব হবে বলে মনে করেন ভোটাররা। তবে নতুন ভোটারদের অনুভূতি- তারা সৎ যোগ্য মেধাবি অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত র্নিভেজাল লোককে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বলেন, যারা পাহাড়ে বিরাজমান শান্তিকে অশান্ত করে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের প্রতিহত করবে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, সে বিজয়ী হলে সদর উপজেলাকে একটি মডেল ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। রোমান বলেন, আল্লাহ তাকে অনেক দিয়েছেন, তাই জনগণের হক নিয়ে কোন প্রকার লোভ লালসা করা হবেনা। জনগণের হক জনগণ যথাযথভাবে পাবেন। তবে জনগণ ভালবেসে আমাকে ভোট দেবে। আমি জনগণের ভোটের প্রত্যাশী। জনগণ ভোট দিলে আমি বিজয়ী হবো আর ভোট না দিলে হবোনা। তবে আমি শতভাগ বিশ্বাসী আগামী ১৮মার্চ জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।
বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সমর্থিত (স্বতন্ত্র) প্রার্থী অরুন কান্তি চাকমা বলেন, তিনি গত ৫ বছর রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ছিলেন। এবারও তিনি (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, নির্র্বাচন অবাধ. সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারলে এবং ভোট চলাকালে অনিয়ম দুর্নীতি করা না হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানান।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় সোয়া চার লাখ। ১০ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী-২০জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী-৩১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬জন।