মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিভিন্ন উপ-পরিষদের মতবিনিময়

22

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ এর সঞ্চালনায় শনিবার বিকাল ৩টায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সংঙ্গীত শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নৃত্য সংগঠন, আবৃত্তি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের অর্থসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্টু লাল সাহা, মহিউদ্দীন রাশেদ, মাহবুব চৌধুরী, মোহাম্মদ ফরিদ, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান স্কোয়াডের আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা, মোহাম্মদ রকিবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের উদ্দীপনমূলক গানের মাধ্যমে সাংকেতিক চিহ্ন পরিধান করে আমাদের দামাল ছেলেরা মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে “জয় বাংলা বাংলার জয়” “পূর্ব দিগন্তে সুর্য উঠেছে” “সব কটি জানালা খুলে দাও না” “ওগো বীর মুক্তিযোদ্ধা” বেতারের মাধ্যমে প্রচারিত কালজয়ী গানগুলোর মধ্য দিয়ে বুকে কঠিন ইস্পাত সাহস নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের আবৃত্তি, ¯েøাগান, কথামালা, সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে যুদ্ধকালীন নৌ কমান্ডোরা বড় বড় পাকিস্তানি জাহাজে হামলা চালায় এবং পাকিস্থানি সৈন্যরা গ্রামে-গঞ্জে বিশেষ করে নদী পার হয়ে ওপারে গিয়ে কোন প্রকার হামলা করতে না পারে সে সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা নদী ও খালের ব্রীজগুলো বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই গানগুলো উৎসাহ যোগাতো।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের এখনই উচিত আমাদের প্রজন্মকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কিতিক বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তোলা। প্রত্যেক পিতা-মাতা ও অভিবাবকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, তাঁরা যেন প্রত্যেক সন্তানের প্রতি সার্বিক বিষয়ে যতœশীল হন এবং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সঠিক ইতিহাস জানিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি