বান্দরবানে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

36

বান্দরবানে বিআরটিসি ও পূর্বাণী-পূরবী পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর জের ধরে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুপুর ‘বিআরটিসি বাস সিডিউল মানছে না’ এমন অজুহাতে আকষ্মিক ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এরপর দুপুরের পর জেলা শহর থেকে কোন পরিবহন ছাড়তে দেয়নি আন্দোলনকারীরা। অতর্কিত এই ধর্মঘটের কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। পূর্বাণী-পূরবী মালিক-শ্রমিকরা বলেছেন- বিআরটিসি সিডিউল না মেনে গাড়ি ছাড়ার কারণে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দ্ব›দ্ব নিরসন না হলে ধর্মঘট চলবে। অন্যদিকে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বলেছেন- একটি বাসের ত্রæটিজনিত কারণে বিলম্বে গাড়ি ছাড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বাণী-পূরবী মালিক-শ্রমিকরা বাস স্টেশন এলাকায় তাদের গাড়ি আটকিয়ে দেয়।
এদিকে দুই পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্ব›দ্ব নিরসনে পরিবহন শ্রমিক এক্য পরিষদ কার্যালয়ে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে দুপুরে আইন শৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবর্গের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ৩০অক্টোবর পুনরায় বৈঠকের মাধ্যমে বিআরটিসি ও পূর্বার্ণী-পূরবী পরিবহনের মধ্যে নতুন সিডিউল নির্ধারণের শর্তে সন্ধ্যায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় বান্দরবান ট্রাফিক পুলিশের ওসি সালাউদ্দিন মামুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরিবহন নেতা আব্দুল কুদ্দুস,অমল কান্তি দাশ,শাহাব উদ্দিন,ঝন্টু দাশ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান রাশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি)র এসি বাস পরিবহন চালু হয়। এর পর থেকে পূরবী-পূর্বাণী পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার সামান্য অজুহাতে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। তবে পূর্বাণী-পূরবী পরিবহনের সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।