বদরপাতি মসজিদ পুনঃনির্মাণে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা

60

বদরপাতি শাহী জামে মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ভাইদের নামাজ পড়তে অনুপযোগি হয়ে পড়েছিল। মসজিদটি আবদুল্লাহ খান ওয়াকফ্ এস্টেট এর স্বত্বাধিকারী আর.এস. মূলে মালিক হয়। এটা তাদের পূর্ব পুরুষদের নির্মিত মসজিদ। চট্টগ্রাম শহরে আবদুল্লাহ খান ওয়াক্ফ এস্টেট এর আরও বহু মসজিদ বর্তমানেও বিদ্যমান আছে। ব্যবহারের অনুপযোগি হওয়ায় বদরপাতি মসজিদটি নতুন করে পুনঃ নির্মাণ করার জন্যে তাদের কাছে এলাকার কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি লিখিতভাবে দাবি জানালে তারা প্রস্তাবটি সম্মানের সহিত গ্রহণ করে পরবর্তীতে তারাও লিখিতভাবে মসজিদটি পুনঃ নির্মাণের অনুমতি দেন।
তাদের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার মানুষ মসজিদ পুন ঃ নির্মাণের জন্য ভাঙার কাজ শুরু করে। মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভাঙতে অনেক কাঠখড় পুড়তে হয়েছে। নানামুখী বাধা এসেছে। ভাঙার প্রায় এক বছর গত হলেও এখনো নতুন করে মসজিদটি পুন:নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জানা যায় একটি পরিবার মসজিদটি বি.এস. করে তাদের দাবি করায় এলাকার ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি পুনঃ নির্মাণের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা এটাই প্রথম। ইতিপূর্বে এই পরিবারটি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক চলমান বদরপুকুর সংস্কারেও বি.এস. মূলে পুকুরটি তাদের দাবি করে কাজে অন্তরায় সৃষ্টি করেছিলো। যা ছিলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দীর্ঘদিন বদরপাতি মসজিদটি পুন নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়াতে সংশ্লিষ্ট মসজিদের মুসল্লিরা কষ্ট করে এখন বদর আওলিয়ার মাঠসংলগ্ন অস্থায়ীভাবে নির্মিত টিনশেডের মসজিদে নামাজ আদায় করছেন।
এমতাবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে ঐতিহ্যবাহী বদরপাতি শাহী জামে মসজিদটি পুন ঃ নির্মাণে সকল বাধা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে চট্টগ্রামের নগর পিতা মেয়র আলহাজ আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এলাকাবাসীর পক্ষে
নজরুল ইসলাম বাহাদুর
বদরপাতি, চট্টগ্রাম।