পিঠা উৎসবে মুখরিত সীতাকুন্ড সরকারি মহিলা কলেজ

84

শীতের এমন দিনে গ্রামের বাড়িতে ভোরে গাছিদের খেজুর রস সংগ্রহের এক রকম ধূম পড়ে যায়। আর খেজুর রস দিয়ে সকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এসব গ্রামীণ ঐতিহ্য মাথায় রেখে অন্যান্য বছরের মত এবছরও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল সীতাকুন্ড সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উৎসবে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ঢল লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান আরম্ভ হলেও সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা নানারকম পিঠা নিয়ে দলে দলে কলেজ প্রাঙ্গণে এসে হাজির হয়। পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন- অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন- সীতাকুÐ সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ দিদারুল আলম, সীতাকুন্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দিদারুল আলম জাহাঙ্গীর, কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দীন, রিয়ারু বাইয়াত, সিনিয়র প্রভাষক বনানী দত্ত, সুকদেব রুদ্র, সেলিনা বেগম, সেলিনা আক্তার, নাজলী শফিক, মোঃ শাহজাহান, শামীমা নার্গিস, মোঃ ইমাম হোসাইন ও মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন। আয়োজিত পিঠা উৎসবে প্রায় ৬০টিরও বেশি পিঠা স্টলে অন্তত ৪০ রকমের নতুন নতুন পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদারুল আলম বলেন, অন্যান্য শীত মৌসুমের মত চলতি মৌসুমেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষকসহ কলেজের শতশত শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা উপস্থিতি যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। তবে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকাংশে বেশি। ফলে নানারকম পিঠাতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন-প্রভাষক মোঃ আবু মোজাম্মেল হক, প্রবীর নন্দী, ইয়াসমিন বেগম, মোহাম্মদ সুমন, উজ্জল কান্তি দাশ, দেলোয়ারা বেগম, শাহনাজ খান,সাবিনা আক্তার, গোলাম সারোয়ার এবং বিজয় ভানু চক্রবর্তী ও রূপনা মজুমদার প্রমুখ।
সকাল থেকে শুরু হওয়া উৎসবে ভাঁপা পিঠা, পুলি পিঠা, সার্স, অন্থন, নারকেল, শীতল, ফুল পিঠা, চিতই পিঠাসহ আরো অন্যান্য পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শনার্থীদের। এদিকে পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সীতাকুন্ড সরকারি মহিলা কলেজের আয়োজনে প্রতিবছর শীত মৌসুমে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এটি অনেক ভাল দিক, তারা গ্রামীণ ঐতিহ্য সবার মাঝে তুলে ধরেছে এবং নানারকম পিঠা তৈরি করে খুব সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করছে। এই পিঠা উৎসব যাতে সব সময় চলমান থাকে।