দুবাই গাল্ফফুড ফেয়ারে বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক স্টল পরিসর বাড়ানোর দাবি উদ্যোক্তাদের

62

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে গাল্ফফুডের ২৫তম আসর। এবারের আসরে ১৪০টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিদেশিরা আগ্রহের সাথে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি পণ্যে।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান বলেন, ১৪০টি দেশের অংশগ্রহণে জমে ওঠেছে এবারের এ খাদ্যপণ্যের মেলা। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের মতো খাদ্যপণ্য অর্থনীতির বিশাল খাত। এবছর বাংলাদেশ থেকে ৪৮টি কোম্পানি ৩০টি প্যাভিলিয়নে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করেছে এই মেলায়।
প্রায় ৫ হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিন ভিড় করছেন মেলায়। বাংলাদেশের অর্ধশত স্টল দেশকে উপস্থাপন করছে সুন্দরভাবে। এই মেলা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এক্সপোতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সহজ করছে । তিনি বলেন, সরকার অন্যান্য শিল্পখাতে রপ্তানি বৃদ্ধি পায় সেই জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখানে প্রতিটি কোম্পানি বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছে এবং আগামীতে আরো কোম্পানি এই গাল্ফফুড মেলায় অংশ গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। এবার আমরা ৩১৮ স্কয়ার মিটার জায়গা দিয়েছি। আমরা সেই গাল্ফফুডটা আরো জাঁকজমক পূর্ণ আরো বড় পরিসরে করতে পারবো বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. শোয়াইব হাসান জানান, ২০০৪ সালে ২.৯ মিলিয়ন ডলার খাদ্যপণ্যে এক্সপোর্ট থাকলেও গত বছরে তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে। দেশের এসব পণ্য বিদেশে বাজারজাত করতে উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এজি ফুড লিমিটেড ডিজিএম অপারেশন মোহাম্মদ রহিমুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, দুবাইয়ে এই গাল্ফফুড মেলায় এজি ফুডস লিমিটেড প্রথমবারের মতো অংশ গ্রহণ করলেও মান সম্পন্ন পণ্য নিয়ে আমরা এসেছি। আমেরিকা ইউরোপ অষ্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের অসংখ্য বাইয়ার আমাদের পণ্য ইমপোর্ট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, গাল্ফফুড বিশ্বের বড় একটি আন্তজার্তিক মেলা। তবে এই মেলায় বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানিগুলো আরো ব্যাপক ভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারলে পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতা থাকলে এই গাল্ফফুড মেলায় বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচার ও প্রসার লাভ করবে। তবে এই গাল্ফফুড মেলায় বাংলাদেশিদের জন্য স্টলের স্পেস পরিমাণ কম হওয়ায় ক্রেতা দর্শকদের কিছুটা সমস্যা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো এই গাল্ফফুড মেলায় বড় স্পেস নিয়ে স্টল করে। সেভাবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো যাতে করতে পারে সেই ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো এই গাল্ফফুড মেলায় বড় স্পেস নিয়ে স্টল করে। সেভাবে বাংলাদেশি কোম্পানি গুলো যাতে করতে পারে সেই ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।