চট্টগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার মিনা

113

বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিগত জুলাই মাসে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা, গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত মামলার রহস্য উদঘাটন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, পরোয়ানা তামিল ও কোর্টে প্রসিকিউশন পক্ষের মামলা পরিচালনাসহ সার্বিক বিবেচনায় ভালো কাজের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রেঞ্জের ১৮ জন অফিসার-ফোর্সকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এতে শ্রেষ্ঠ জেলা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নুরেআলম মিনা বিপিএম(বার), পিপিএম এবং শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হয়েছেন চট্টগ্রাম সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া।
এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আরও ৪ জন সদস্য পুরস্কৃত হয়েছেন। এতে শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে রাউজান এবং শ্রেষ্ঠ ওসি হয়েছেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ, শ্রেষ্ঠ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়েছেন সীতাকুÐ থানার এসআই মো. আব্দুল মজিদ ও ফটিকছড়ি থানার এসআই আরিফুল আলম অপু ও শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা হয়েছেন চন্দনাইশ থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ সুপারের সমে¥লন কক্ষে ডেঙ্গু ভাইরাস, জঙ্গি, মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ১১ জেলার পুলিশ সুপারদের সাথে অনুষ্ঠিত বিগত জুলাই মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।
এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট কুমিল্লা জেলা, শ্রেষ্ঠ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হারুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. জিয়াউল হক, শ্রেষ্ঠ ডিবি নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখা, শ্রেষ্ঠ ডিবি অফিসার নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই সাঈদ মিয়া, শ্রেষ্ঠ এসআই কক্সবাজার সদর থানার প্রদীপ চন্দ্র দে, শ্রেষ্ঠ ডিবি ওয়াচার কক্সবাজার জেলা বিশেষ শাখার কনস্টেবল মো. শাহাদাত হোসেন, শ্রেষ্ঠ অবৈধ গুলি-অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার টেকনাফ থানার এসআই সুজিত চন্দ্র দে, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার টেকনাফ থানার এসআই সাব্বির আহমেদ, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার এএসআই আবদুর রহিম, শ্রেষ্ঠ এএসআই লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মো. সুলতান মাহবুব এবং শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হয়েছেন লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন এন্ড ক্রাইম) মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা (চট্টগ্রাম), জিহাদুল কবির (চাঁদপুর), এবিএম মাসুদ হোসেন (কক্সবাজার), মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার (বান্দরবান), মো. আহমার উজ্জামান (খাগড়াছড়ি), মো. আলমগীর কবীর (রাঙ্গামাটি), মো. আলমগীর হোসেন (নোয়াখালী), আ স ম মাহাতাব উদ্দিন (লক্ষীপুর), সৈয়দ নুরুল ইসলাম (কুমিল্লা), মো. আনোয়ার হোসেন খান (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), খোন্দকার নুরুন্নবী (ফেনী) ও চট্টগ্রামের আর.আর.এফ কমান্ড্যান্ট মো. মাসুদ।
এসময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সার্কেল অফিসার ও আর.আর.এফ কমান্ড্যান্টসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট ইনচার্জগণ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখাসহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিয়মিত অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দেশের সব জেলার মানুষ ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের একজন নারী এসআই’সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক মারা গেছে। একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘর-বাড়ি, থানা কম্পাউন্ড, পুলিশ লাইন্সের আঙিনা, ব্যারাক ও মেস সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অফিস-আদালতে থাকা ফুলের টব, অব্যবহৃত গাড়ি ও জমে থাকা স্বচ্ছ পানি অপসারণ করাসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিরোধী আন্দোলন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্তকরণ ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারদের পরামর্শ দেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি