শব্দদূষণ কমাতে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণের মাত্রা দিনদিন অস্বভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তায় চালকরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজায়। শব্দদূষণ আইনের তোয়াক্কা না করে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ তৈরি করে ভবন নির্মাণকাজ, অযথা মাইকের ব্যবহার, কল-কারখানা চালু রাখে। অতিরিক্ত শব্দে কানের ভেতরের বিশেষ এক ধরনের কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। এতে স্থায়ীভাবে শ্রবণের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন ও বিধিমালা থাকলেও প্রয়োগ আর মেনে চলা সীমিত। এমন অবস্থায় শব্দদূষণ কমাতে ব্যক্তি পর্যায় থেকে সচেতন হওয়া জরুরি।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে। গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের হালদা সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ও অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে অযথা হর্ণ বাজানো অপরাধ। আমরা আইনের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় হর্ণ বাজাই। নিরবে নিজেদের ক্ষতি করছি। দেশে আইনের অভাব নেই। মোবাইল কোর্ট করে কোনভাবে শব্দদূষণ ঠেকানো যাবে না। যদি না আমরা সচেতন না হই। অযথা হর্ন দেওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে। এবং আমাদের আইন মেনে চলার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোহাম্মদ শরীফুল আলম, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।