ঘুমধুমে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়

85

উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া মগঘাট এলাকায় সরকারি লিজভুক্ত পাহাড় থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহল। এতে পাহাড়ের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এভাবে পাহাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হলে কয়েক বছরে হারিয়ে যাবে ঘুমধুমের অধিকাংশ পাহাড়।
সরজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার ১৬৭১,১৬৪৫, ১৬৪৩ দাগের আন্দরে ইয়াহিয়া নামের ২০ একর লিজ প্লট রয়েছে। প্লটের সৃজিত বাগানে বিশাল পাহাড় ধ্বংস করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১৫জন শ্রমিক দিয়ে রাতদিন বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ফরিদ আলম (৫০), আব্দুর রহমান (৫৫)সহ কয়েকজন চিহ্নিত বালিখেকো। সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার ফাতেমা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মগঘাট এলাকার কতিপয় লোকজন স্থান থেকে রাতদিন বালি উত্তোলন করছে। এখন অনেকে বিষয়টি জানলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
ইয়াহিয়া গার্ডেনের পাহারাদার সাধন বড়ুয়া বলেন, আজুখাইয়া মগঘাট এলাকার বালিখেকো ফরিদ আলম, আব্দুর রহমান নেতৃত্বে কিছু অসাধু ব্যক্তি পাহাড় ধ্বংসে মেতে উঠেছে। সৃজিত লিজ প্লটের পাহাদার হিসেবে আমি বালি উত্তোলনে নিষেধ করায় তারা আমাকে মামলার হুমকি দিচ্ছে। আমি হুমকি-ধমকির কারণে আমি এখন ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে আছি। সে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শামীমুল আলম খুরশি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতিত কেউ বালি উত্তোলন করে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দ্রæত ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হবে বলে জানান।