খুটাখালীতে পশুখাদ্য বাগানের নামে বনভূমি গ্রাস

85

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন মেধাকচ্ছপিয়া বনবিটে পশু-পাখির খাদ্যের জন্য মিশ্র বাগান নামে ৩০ হেক্টর বনভূমি দখল করে বাগান করেছে বনবিভাগ। লাখ টাকা লুটপাট করে ঠিকাদার ছাড়াই বাগানটি করেন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও মেদাকচ্ছপিয়ার সাবেক বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া। ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি এই বাগানে বনভূমি কেটে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বসিয়েছে পাহারার নামে ৪টি বসতঘর। এসব ঘর ও জমি ভিটি হিসাবে কড়ায় গÐায় ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশুর খাদ্য বাগান এলাকায় গত এক মাসেই ৫টি নতুন বসতঘর করা হয়েছে। তার মধ্যেই মেধাকচ্ছপিয়ার গহীন বনে আগাছা ভরা জঙ্গলে পশুর খাদ্যের জন্য ফল ও মিশ্র খাদ্যের বাগানের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। ৩০ হেক্টর বাগান হলেও ১০ হেক্টরে দেয়া হয়েছে সাইন বোর্ড। মূলত ওই পাহাড়টিতে ২ বছর বয়সি দুই শতাধিক চারাগাছের মোথা থাকলেও নেই কোন গাছ। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ফরিদ ও কালাম নামের দু’জনের নেতৃত্বে পাহারাদারের নামে গড়ে তোলা হয়েছ অবৈধ বসতঘর। সম্প্রতি সময়ে আরো ৮/১০ টি নতুন মাটির ঘর তোলা হচ্ছে। পাহারাদার ফরিদ জানান, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া তৎকালীন মেদাকচ্ছপিয়ার বিট কর্মকর্তা থাকাকালীন স্থানীয় গুরা মিয়াসহ আরো ১০/১২ জন থেকে টাকা নিয়ে ঘর করে দিয়েছে। নামধারী সেই গুরা মিয়া গত সপ্তাহে লাখ টাকায় জোৎস্না বেগম নামের এক মহিলাকে বসতবাড়ি বিক্রি করেছেন। যা বর্তমানে নির্মানাধীন। এ ব্যাপারে জানতে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়াকে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ ব্যস্ত দেখিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বসতঘর নির্মাণের ব্যাপারে মেদাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, বনভূমিতে প্রতিদিন ঘর নির্মাণ হচ্ছে। লিখতে চাইলে সবগুলো নিয়ে লিখেন। শুধু আমারগুলো নিয়ে মাথা কম ঘামানোর পরামর্শ দেন তিনি। আগাছাভরা জঙ্গলে পশুর খাদ্যের ফল ও মিশ্র খাদ্যের সাইনবোর্ড সর্বস্ব বাগানের নামে লাখ টাকা আত্মসাৎ কেন জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে রেঞ্জ অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য তাগিদ দেন।