‘কালো টাকা সাদা করতে ইয়াবা কারবারীরাও ঠিকাদারীতে’

79

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এলজিইডি টেন্ডার আবেদনের শেষ দিন ছিল। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সারাদেশ থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডার আবেদন করতে আসে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। এক পর্যায়ে আবেদনে ভরে যায় নির্দিষ্ট টেন্ডার বক্স। এসময় কোন উপায়ান্ত না দেখে উপজেলা প্রকৌশলী তার কক্ষ ছেড়ে দিয়ে আবেদন জমা নেন। টেন্ডার আবেদনের এমন অবস্থা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
এলজিইডির টেন্ডার আবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ লিখেছেন- ‘হাইরে! আফসুস গুটি বিয়ারীর কালো টাকা সাদা করার প্রতিযোগিতায় এক বিশাল উৎসব, এতে পাত্তা পাচ্ছেনা সাধারণ ঠিকাদাররা’।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরীর ছেলে আমেরিকায় অধ্যয়নরত সাফ্ফাত ফারদিন লিখেছেন ‘এদের রুঁখে দিন। না হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি অনিরাপদ এবং অনিশ্চয়তায় ভরা উখিয়ায় বসবাস করতে হবে’।
উখিয়ার বিশিষ্ট ঠিকদার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, উখিয়ার একটি সুনাম রয়েছে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বনামধন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেছে। তবে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের কালো টাকা সাদা করার জন্য নতুন করে ঠিকাদারী কাজে নেমেছে। তারাও এখানে অংশ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি আরো বলেন, কম মূল্যে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিরা টেন্ডার আবেদন করেছে। টেন্ডার আবেদন যেন একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতি স্বচ্ছতার সাথে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় উখিয়ায়, এমন সুনাম থাকায় টেন্ডার আবেদন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ১৫ বছরের চাকরি জীবনে এ ধরনের অবস্থা দেখিনি। বক্সে ঠাই না হয়ে একটি কক্ষে আবেদন পত্র জমা নেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।