কক্সবাজারে ইয়াবা সেবনে তরুণীর মৃত্যু

31

রাজধানী ঢাকার বৃটিশ কাউন্সিলের এ লেভেলের ছাত্রী কক্সবাজারে বেড়াতে এসে গত শুক্রবার রাতে অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মারা গেছেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন। পুলিশ এ ঘটনায় ওই তরুণী ছাত্রীটির কথিত প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেফতার করে গতকাল শনিবার কারাগারে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে আরো জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়িতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন। শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার সকালে ব্যবসায়ী বাবাসহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে আসনে কক্সবাজারে।
পুলিশের উপপরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়িতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের যেন শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।
ডাঃ শাহীন আরো বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। ডাঃ শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষণে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডাঃ শাহীনের মতে বেশি পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে রেখে সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান।
তবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুণকে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।