এক বছরেও মাটিরাঙ্গার মাস্টারপাড়া সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি

37

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তপ্তমাষ্টার পাড়াসহ আশে পাশের প্রায় ১০ গ্রামের সাধারণ মানুষ। এই পাহাড়ি জনপদের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল তপ্তমাস্টার পাড়া জীপেবল সেতু। কিন্তু প্রকৃতির নির্মমতায় বর্ষার প্রবল বর্ষণের প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে ২০১৮সালে সেতুটি ভেঙ্গে যায়। এরপর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনঃনির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি আজও আলোর মুখ দেখেনি তাই স্থানীয় শিক্ষার্থী ও দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ প্রশাসনিক আশ্বাসের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়। তারা চলমান জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারের ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা জানান, সেতুটি পুণঃনির্মাণ করা অত্যন্ত জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে সেতুটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে ২০৬নং দলদলি মৌজার হেডম্যান দ্বীন মোহন ত্রিপুরা জানান, সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিতে হয়। বর্ষায় শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার আতংক নিয়ে পারাপার হচ্ছে গ্রামবাসীর উদ্যোগে তৈরিকৃত সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, গত বছর আমি ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন আমার দপ্তর থেকে সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে জেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। শুনেছি জেলা পরিষদ থেকে সেতুটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে, তবে কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন করা হবে আমার জানা নেই।