‘বাজারের অধিকাংশ প্রসাধনীতে ভেজাল’

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের বাজারে থাকা অধিকাংশ প্রসাধন সামগ্রী নকল বলে দাবি করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আর বিদেশ থেকে যেসব প্রসাধনী আসে, তাও বৈধভাবে আসছে না বলে তাদের পর্যবেক্ষণ।
গতকাল বুধবার কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভোক্তা অধিদপ্তর। ঢাকার কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এই বৈঠকেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ভেজালের অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশ থেকে কসমেটিক পণ্যগুলো আসে রেভিনিউ ফাঁকি দিয়ে। এছাড়া বাজার ভেজাল পণ্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। বাইরের দেশে ভেজাল পণ্য বিক্রির কোনো সুযোগই নেই। অথচ আমাদের দেশের বেশিরভাগ কসমেটিক পণ্যই ভেজাল। ব্যবহারকারীরা চর্মরোগসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে প্রসাধনীর বাজার তদারক করে রাজধানীর বনানী, গুলশান, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজারসহ পুরান ঢাকার চকবাজার ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ১০টি দোকান থেকে মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ’র
বিদেশী প্রসাধনী সামগ্রীর ক্ষেত্রে ভোক্তাদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগগুলো তুলে ধরে অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বেশিরভাগ পণ্যের আমদানিকারকের স্টিকার এবং এমআরপি দেওয়া থাকে না, আবার প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতারা নিজেরাই এমআরপি নির্ধারণ করে থাকে। আমদানিকারকবিহীন প্রসাধনীর ক্ষেত্রে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম থাকলেও তাদের দেওয়া এমআরপি কেটে নতুন করে বেশি দাম লেখা হয়। আবার দেশের ভেতরে তৈরি নকল প্রসাধনী সামগ্রীকে বিদেশি বলে বিক্রি করা হয়।