মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ৪৬ শতাংশ কাজ শেষ

19

২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ হয়েছে ৪৬ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হবে। এতে চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক বলয় হবে আরো সম্প্রসারিত। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। প্রকল্পের অধীনে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আট তলা অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ৮ তলা ভবনের মধ্যে টপ ছাদের ঢালাই বাকী রয়েছে। ১৫ তলা বিশিষ্ট গণগন্থাগারের ১০ তলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ ৪৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় কাজের গতিও বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে।
সড়কের বিপরীত পাশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অংশে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ এবং পশ্চিম পাশে নিচতলায় ক্যাফে ও দুই তলায় মিউজিয়াম হবে। শহীদ মিনার থাকবে। এ শহীদ মিনারকে আরো সাজিয়ে তোলা হবে বলেও জানান রাহুল গুহ।
১৯৬২ সালে নগরীর কেসি দে রোডে পাহাড়ের পাদদেশে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৭৪ সালে এটি বর্তমান রূপ লাভ করে। এখানে কোনো স্মৃতিসৌধ না থাকায় একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ জাতীয় দিবসগুলোতে এখানেই কর্মসূচি পালন করা হয়।
তথ্য মতে, সড়কের দুই পাশে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের দুই অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে রাস্তার ২১ ফুট উপর দিয়ে একটি প্লাজা নির্মাণ হবে। এই প্লাজা দিয়ে হেঁটে কমপ্লেক্সের উভয় অংশে চলাচল করা যাবে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রীর
উপস্থিতিতে সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, ২৩২ কোটি ৫১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদের ভেতর কাজ না হওয়ায় আবার বাড়ে প্রকল্পে মেয়াদ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর ও গণপূর্ত অধিদফতর।
এ বিষয়ে আবৃত্তি সংগঠন উচ্চারকের কর্ণধার ও বাংলাদেশ আবৃত্তি শিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ফারুক তাহের জানান, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ও গণগ্রন্থাগার একদিকে চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক চর্চাকে শাণিত করবে, আরেকদিকে জ্ঞান পিপাসু মানুষদের জ্ঞানের ক্ষুধা মিটাবে। সমৃদ্ধ হবে চট্টগ্রামের পুরো সংস্কৃতির পরিমÐল।