বাঁশখালীতে শঙ্খ নদীর গর্ভে বিলীন ৮ বসতঘর

41

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। যে কারণে বাঁশখালীর পুুকুরিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছিপাড়া এলাকায় গত দুইদিনে আটটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শঙ্কার মুখে আরো ৩০টি বাড়ি। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সাধনপুর ও বৈলছড়ির পাহাড় থেকে ৬০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, পুকুরিয়ার তেচ্ছিপাড়া এলাকায় ছয়টি বাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। সাধনপুর ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ৬০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে পানি থাকলেও বৃষ্টি কমার সাথে সাথে তা নেমে গেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছি। পুরো তথ্য পাওয়া গেলেই জেলা প্রশাসনের পত্র দিয়ে বরাদ্দ চাওয়া হবে। দুর্যোগ ঝুঁকি থেকে মানুষকে সরিয়ে দিতে আগেভাগেই মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, পুকুরিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছিপাড়ায় গত দুইদিনে আটটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আরো ৩০টির মতো ঘর যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন- কবির আহমদ, মো. হাছন, মো. আলী, হাবিবুর রহমান, আবদুল লতিফ, আনোয়ার হোসেন, ফজলুল কাদের ও আবদুল গনি।
পুকুরিয়ার ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুল আলম পূর্বদেশকে বলেন, ‘দুইদিন ধরে নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। যে কারণে পুরো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গত দুইদিনে আটটি ঘর নদীতে ভেঙে পড়েছে। আরো কমপক্ষে ৩০টি ঘর যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’