৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

6

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশে ৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। এর ফলে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বছরে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উপার্জন হচ্ছে, ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছরে ২০/২২ লাখ মানুষ বাড়ে, প্রতিবছর কৃষি জমি কমে দুই লাখ একর। এরপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি এবং কৃষি পণ্য রপ্তানিও করছি। এই অভাবনীয় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিন দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সাফল্য দেখাতে পেরেছে এটি অভাবনীয় এবং সমস্ত পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ, কিন্তু ধান ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম।
রাঙ্গুনিয়ায় প্রচুর কৃষি জমি পতিত থাকে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এসব কৃষি জমিতে শাকসবজি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। যেসব জমিতে যে কৃষি পণ্য বেশি ভাল হবে, সেখানে কৃষকদের নিয়ে সেই বিষয়ে সভা করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের। রাঙ্গুনিয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যাবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু এখন উল্টো হচ্ছে। আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে কৃষি বিভাগকে একটি পরিকল্পনা নিতে হবে। যেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে এখন খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে, কারণ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা মহামারি এখনো যায়নি। আবার কোন মহামারি আসে তা বলা যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন, যেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে।