৪ মাঝিকে খুনের স্বীকারোক্তি দিলেন রোহিঙ্গা যুবক

21

পূর্বদেশ ডেস্ক

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাক্যাম্পে চার মাঝিকে খুনের ঘটনা স্বীকার করে অস্ত্র হাতে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন মোহাম্মদ হাশিম (২২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক।
গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় মো. আব্দুল্লাহ নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও বার্তাটি আপলোড করা হয়। এরপর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার বর্ণনা দিচ্ছেন হাশিম।
হাশিম মিয়ানমার বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পুর্বপাড়া আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি বর্তমানে উখিয়ার বালুখালি ৯৩ বøকের ক্যাম্প-১৮ এর বসবাসকারী বলে দাবি করেন। রোহিঙ্গা ওই যুবক ইসলামী মাহাজ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলেও দাবি করেন।
ভিডিওতে রোহিঙ্গা যুবক বলেন, তার মতো আরও ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য তাদের দেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা।
এক মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওতে হাশিম বলেন, হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি সানা উল্লাহ, হেড মাঝি জাফর ক্যাম্প-১৭ এর ইসমাইলকে তারা হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করেন তিনি।
একইভাবে ভিডিওতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ’র ৬ জন মুখপাত্রের নামও বলেন, তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুঁইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রু, এই ৬ জন সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলে রোহিঙ্গা যুবক জানান এবং তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এই খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।
এ বিষয়ে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিও বার্তা আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। তার পরিচয় শনাক্ত করে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে, সেটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।