৩৩ দিন ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ ঝুলছিল পাহাড়ের গাছে

2

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফরিয়াদিরকুল পূর্ব এলাকার ভগরতির খামারের পার্শ্বস্থ গহীন জঙ্গলবেষ্টিত পাহাড়ের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে পরিমল দাশ (৬৪) নামের এক বৃদ্ধের। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
গত বুধবার দুপুর দুইটার দিকে লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত এলাকা হতে পরিমলের লাশটি উদ্ধার করেন। পরিমল দাশ পদুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর হিন্দু পাড়ার মৃত প্রাণহরী দাশের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিমল দাশ বিগত ২০ বছর ধরে পদুয়া ঠাকুরদিঘী বাজারে মুদির দোকান করতেন। তিনি বিগত মাসখানিক পূর্বে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে প্রণয় দাশ লোহাগাড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পরে তাঁকে অনেক খোঁজ করা হলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। সর্বশেষে নিখোঁজের ৩৩ দিন পর উপজেলার পদুয়ার ফরিয়াদির কুলের পূর্ব এলাকায় ভগরতির খামারের পার্শ্ববর্তী গহীন জঙ্গলবেষ্টিত পাহাড়ের উপর একটি গাছে গলায় ধুঁতি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে থাকা পরিমলের লাশটি পাওয়া যায়।
নিহতের ছেলে প্রণয় দাশ জানান, আমার বাবা বিগত এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় জিডিও করেছি। এরপর থেকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজিও করেছি। কিন্তু সন্ধান পাইনি। আজ (বুধবার) জনৈক ব্যক্তি এ ব্যাপারে আমাকে খবর দিলে সাথে সাথে আমি লোহাগাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করি। পরে লোহাগাড়া থানা পুলিশসহ আমরা সেই পাহাড়ের উপর ঘটনাস্থলে গেলে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আমার বাবার লাশ দেখতে পাই।
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের ছেলে প্রণয় তার বাবার লাশের সন্ধানের ব্যাপারে আমাদের থানা পুলিশকে অবহিত করলে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গহীন জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করি। নিহতের লাশ বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে শুকিয়ে শরীরের অর্ধেকাংশ বিকৃত হয়ে গেছে।
এদিকে, পরিমল দাশের লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুল ইসলাম।