১৫ উপজেলায় সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করে প্রস্তাব প্রেরণ

55

খেলাধুলার উন্নয়নে দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে নির্মিতব্য এসব স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে করার সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ১১ জুলাই উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জমি চেয়ে চিঠি পাঠায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ১৫টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করে ক্রীড়া পরিষদে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, সব উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য জায়গার তথ্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কিছুই জানায়নি। মন্ত্রণালয় কোনো নির্দেশনা দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর জোর দেয়ার কথা জানান তিনি।
গত ১৬ জুলাই একনেক সভায় দেশে ছয়টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পটি তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প বাতিল করে কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন। এসব নির্দেশনা মেনেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধিত প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি। এ ছয়টি স্টেডিয়ামের মধ্যে মিরসরাই উপজেলাও আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছিল, যে স্টেডিয়ামগুলো প্রস্তাব করা হবে সেগুলো কোনো স্কুল, কলেজ, মাদরাসা মাঠে করা যাবে না। একটা খোলা জায়গায় হতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা থেকে একটু দূরে মাঠ বাছাই করা যাবে। যার একদিকে গ্যালারি থাকবে। বাকি তিনদিকে উন্মুক্ত থাকবে। সাধারণ মানুষ যাতে দেখতে পারে, কী হচ্ছে এ মাঠের ভেতরে।
জানা যায়, প্রথমধাপে দেশের ১৩১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে হাতে নেয়া প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জমির প্রস্তাব করে জেলা প্রশাসন। এ প্রস্তাবে সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন মর্মে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু একনেক কমিটির অনুশাসনে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে খাস জমি নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাস জমি না পেলে কিছু জমি অধিগ্রহণের কথাও বলা হয়। অথবা ব্যক্তিমালিকানাধীন দানকৃত জমিতে জমিদাতার নামফলক উল্লেখ করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা যেতে পারে।
এসব নির্দেশনা অনুসরণ করেই ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট সব উপজেলায় জায়গা চেয়ে চিঠি পাঠায় জেলা প্রশাসন। এ চিঠি পেয়েই চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির খোঁজে নামেন। চলতি সালের মে মাসে মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সকল উপজেলার জমির তথ্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানো হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে স্টেডিয়াম নির্মাণে জমির তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু উপজেলার মধ্যে কোথাও নির্ধারিত জমি পাওয়া যায়নি। যে কারণে চেচুরিয়া এলাকার কিছুটা পশ্চিমে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে জায়গার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। সরকার চাইলে এখানেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করা হবে।’