হাজার বছর আগে যেমন পাত্রে দুধ খেত শিশুরা

31

অদ্ভুত দর্শন সিরামিকের নানা আকারের পাত্র। বিভিন্ন প্রাণির আকৃতিতে তৈরি। তবে একেবারে হুবহু নয়। হাজার বছর আগের এমনই কিছু পাত্র স¤প্রতি খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অদ্ভুত কিন্তু সুদৃশ্য পাত্রগুলো হাজার বছর আগের মানুষ তাদের শিশুদের পশুর দুধ খাওয়াতে ব্যবহার করত।
হাজার বছর আগের পাত্র। তা কত আগের? প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, কয়েক হাজার। তা এসব পাত্র যে শিশুদের দুধ খাওয়াতেই ব্যবহৃত হতো, তার কী প্রমাণ আছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রত্নতত্ত্ববিদেরা একেবারে নিশ্চিত করে বলেছেন যে, অস্ট্রিয়ার ভসেনডর্ফে প্রাপ্ত এই পাত্রগুলো মূলত শিশুদের গরু, ভেড়া ও ছাগলের দুধ খাওয়াতে ব্যবহার করা হতো। পাত্রগুলোই এর প্রমাণ বহন করছে। কারণ, এসব পাত্রের গায়ে দুধের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। খবর বার্তা সংস্থার সম্প্রতি এ ধরনের কয়েকটি পাত্র খুঁজে পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই পাত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনোটির বয়স অন্তত ২,৮০০ থেকে ৩,২০০ বছর, যে সময়টাকে সাধারণভাবে ব্রোঞ্জ যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর আগে একই ধরনের আরও পাত্র পাওয়া গিয়েছিল, যার মধ্যে এমনকি সাত হাজার বছর পুরোনো পাত্রও আছে, যা মূলত নিওলিথিক সময় হিসেবে পরিচিত।
এ সম্পর্কিত গবেষণা নিবন্ধটি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধের প্রধান লেখক ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব প্রত্নতত্ত্ববিদ জুলি ডিউন বলেন, প্রাগৈতিহাসিক কালে শিশুদের কী ধরনের খাবার দেওয়া হতো তার একটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা এর মাধ্যমে হাতে পেয়েছি। প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা তাদের সন্তানদের কতটা যতœ নিত তারই সাক্ষ্য বহন করছে পাত্রগুলো।
জার্মানিতে পাওয়া এ পাত্রগুলো বেশ ছোট, যা একটি শিশুর ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এর মুখটি বেশ সরু। ফলে শিশুদের জন্য তা যথাযথ। গবেষণাধীন পাত্রগুলোর আকার পশুর মতো। নিচের দিকে মানুষের মতো পা। রয়েছে পশুর মাথার মতো সম্মুখভাগ, যেখানে রয়েছে শিংয়ের উপস্থিতি।
গবেষণা নিবন্ধের সহলেখক ও অস্ট্রিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড ইউরোপিয়ান আর্কিওলজির প্রত্নতত্ত্ববিদ ক্যাথরিনা রিবে-স্যালিসবারি বলেন, পাত্রগুলো খুবই সুন্দর। মিষ্টি দেখতে। প্রাগৈতিহাসিক মানুষের কাছেও নিশ্চয় পাত্রগুলো এ বিশেষত্ব নিয়েই হাজির হয়েছিল। তারা একই সঙ্গে শিশুদের আনন্দ দিতে চেয়েছ, যেমনটা এই সময়েও দেখা যায়। এগুলো সৃষ্টিশীলতা ও ক্রীড়াসুলভ মননের পরিচয় বহন করে, যা প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরও যে ছিল, তা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) উম্মুল হাছনা বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত কাজগুলো অনেক জটিল। নামজারীসহ কাজগুলো কম খরচে, অতি সহজে ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মানুষের দৌরগোড়ায় কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ই-নামজারী ভূমি সংস্কার বোর্ডের অন্যতম কাজ। ভূমির নামজারী করতে গিয়ে অফিসে ভীতি, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হতে হয়- এমন ধারণা দূর করতেই ‘ই-নামজারী’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ফলে কোনো মাধ্যম ছাড়াই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজন সহজে এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে করে ভূমি অফিসের দুর্নাম ঘুঁচবে। তৃণমূল পর্যায়েও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো (ইউডিসি) ভূমির নামজারীসহ অন্যান্য কাজগুলো অতি স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে করছে।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত ই-নামজারী বিষয়ক বিভাগীয় সঞ্জীবনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এটুআই’র সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় দিনব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি-বাকলিয়া) সাবরিনা আফরিন মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
সচিব আরো বলেন, ই-নামজারীর বিষয়টি একটি সিস্টেমে আসলে মানুষ সহজেই সুফল ভোগ করবে এবং আস্তে আস্তে ভোগান্তি কমবে। এজন্য এলাকাভিত্তিক গণশুণানী করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ তারমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া অন্যতম।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভূমির নামজারীসহ অন্যান্য সেবা দিতে গিয়ে কোনো ধরণের দুর্নীতিতে জড়ানো যাবে না। ভূমিতে জন্ম, ভূমিতে মৃত্যু- এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কোনো ধরণের মাধ্যম ছাড়াই অতি সহজে ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ই-নামজারীর আবেদন কিভাবে করতে হবে তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে। মানুষকে সচেতন করা গেলে ভূমি অফিসগুলো দালালমুক্ত হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি