হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি মিনাইয়্যা গ্রেপ্তার

9

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারীর ইমামনগর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি জয়নাল আবেদীন ওরফে মিনাইয়্যাকে আটক করেছে সীতাকুন্ড মডেল থানার পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে ইমামনগর লোহার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল ফকিরের ছেলে বলে জানা গেছে।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মাসুমের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। মিনাইয়্যা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের ট্রাক ও কভার্ডভ্যান থেকে স্ক্র্যাপ লোহা চোর চক্রের হোতা বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর এই চক্রের অপর দুই সদস্য বিপুল পরিমাণ চোরাই স্ক্র্যাপ লোহাসহ ধরা পরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির একটি টীমের হাতে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয় তাদের।
জানা গেছে, বিভিন্ন অপকর্মের হোতা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মিনাইয়্যা দীর্ঘদিন ধরে দলবেঁধে মহাসড়কে চলাচলকারী চোরাই স্ক্র্যাপ লোহা চুরি করে আসছিলেন। বিভিন্ন কোম্পানির স্ক্র্যাপ লোহার গাড়ি থেকে স্ক্র্যাপ ছিনতাই করাই এই সিন্ডিকেটের কাজ। বন্দর টোল সড়ক, ফৌজদারহাট, ভাটিয়ারী ও সোনাইছড়ি এলাকায় এই সিন্ডিকেটের ৪৫ সদস্যের অধিক সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে এই সন্ত্রাসী। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কুমিরা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়কে স্ক্র্যাপ লোহা ভর্তি করে কারখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পৃথক পৃথকভাবে অবস্থান নিয়ে স্ক্র্যাপ লোহা চুরি করে। গত দুই মাস পূর্বে ছিনতাইকারী দলের সদস্যের হাতে খুন হন এক ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তাও। নগরীর আকবরশাহ থানার পুলিশ এ সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে আটক করার পরও বন্ধ হয়নি লোহা চুরি-ছিনতাই। বরং আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রি-রোলিং মিল মালিকরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে একাধিকবার পুলিশের একাধিক টিম তাকে ধরতে অভিযান চালায়। কিন্তু সন্ত্রাসী মিনাইয়্যা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। খুবই চালাক এই সন্ত্রাসী ঘরের ফলসছাদের ভিতরে চারপাশে বিভিন্ন ছোট-বড় পাতিল দিয়ে মাঝখানে ঘুমাত যাতে তাকে কেউ ধরতে না পারে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে স্ক্র্যাপ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আটক আসামি জয়নাল আবেদিন ওরফে মিনাইয়্যাকে আমরা স্ক্র্যাপ চুরি-ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে প্রায় ১৪টি মামলা রয়েছে। এর আাগেও একাধিকবার সে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে এসে ফের ডাকাতি ও স্ক্র্যাপ ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে’।