স্বাভাবিক মাছ-মাংসের দাম কমছে শীতকালীন সবজি দাম কিছুটা বাড়ছে

116

নগরীতে সপ্তাহভেদে সবজির দাম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় দাম একটু বাড়ছে বলে জানালেন সবজি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে মাছ-মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে তবে সোনালী এবং ব্রয়লার মুরগীর দাম বেড়েছে বলে জানা যায়। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ী ও চৌমুহনী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, গাজর ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়, শসা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়, ফুলকপি ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়, বাধাকপি ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায়, বরবটি ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায়, মুলা ১৭ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়, বেগুন ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, কাঁচা মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় (অপরিবর্তিত), পাকা মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকায় (অপরিবর্তিত), টমেটো ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, লাউ ৩০ টাকায় (অপরিবর্তিত), শিম ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায়, নতুন আলু ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায়, পুরাতন আলু ২০ টাকা (অপরিবর্তিত), তিত করলা ১০ টাকা কমে ১০০ টাকায়, শিমের বিচি ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায়, পেঁপে ৪৫ টাকায় (অপরিবর্তিত), মরিচ ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ১০ টাকা কমে ৮০ টাকায়, ওলকপি ৩৫ টাকায় (অপরিবর্তিত), শালগম ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), কচুর লতি ৬০ টাকায় (অপরিবর্তিত), খিরা ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), পেঁয়াজ পাতা ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), ধনিয়া পাতা কেজি ৬০ টাকায়, ধুন্দল ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়, ঝিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায়, কচুছড়া ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায়, পটল ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন জানান,শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় দাম উঠানামার মধ্যে রয়েছে।
অন্যদিকে বরাবরের মত প্রতি আঁটি লাল শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকা, মারিশ শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, কলার মোচা ৪০ টাকা, থানকুনি (২৫০ গ্রাম) ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের দামে কোন পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান তিনি।
সবজি ক্রেতা আবরার শাহরিয়ার বলেন, মোটামুটি দাম ঠিক আছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটা সবজির দাম বাড়তি মনে হয়েছে।
বাজারে গত সপ্তাহের মত বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কমে ২৫০ টাকায়, কাতলা ৩৫০ টাকা (অপরিবর্তিত), কর্ণফুলীর বড় চিংড়ি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়, দেশি কই ৬০০ টাকা, বিগহেড ২৫০ টাকা, সিলাভার কার্প ১৬০ টাকা, দেশি বেলে ৫০০ টাকায়, বড় তেলাপিয়া ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম থাকায় বড় সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, মাঝারি ইলিশ কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় ইলিশ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩০০ টাকায়, পাবদা ৫০০ টাকায়, বাটা ৫০০ টাকায়, রূপচান্দা ৮০০ টাকায়, কালা রূপচান্দা ৪৫০ টাকায় এবং কোরাল মাছ ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শফিক বলেন, সরবরাহ একটু কম। তবে দাম আগের মতই রয়েছে। মাছ কিনতে আসা রুবেল বড়ুয়া বলেন, মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
মাংস বিক্রেতা আব্দুর রশিদ জানান, গত সপ্তাহের মত অপরিবর্তিত থেকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬৮০ টাকা ও হাঁড়সহ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে খাসির মাংস ৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তাছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা আর সোনালী মুরগি ১০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিম ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯০ টাকা (অপরিবর্তিত), দেশি মুরগির ডিম ১০ টাকা কমে ডজন ১৫০ টাকা, কোয়েল পাখির ডিম ২৫ পিস ৭০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, কিছু সবজির দাম সরবরাহ কম থাকায় ৫-১০ টাকার মত বেড়েছে। কিছু সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়াতে দাম বাড়তে পারে। তবে নতুন সবজি ঢুকলে কমে আসবে বলে আশা রাখি।