স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

22

সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। তিনি নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জানা যায়, আগামি ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুন্ড পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল মুনছুর ও নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে জহিরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন অফিস। বাকি দুইজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১৩ জন এবং পুরুষ কাউন্সিলর ৭১ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মুফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করেন এবং অপর দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সবগুলো মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সীতাকুÐ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান এক পর্যায়ে মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। বিকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল এবং ৫নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ১০০ সমর্থকের তালিকা দেন। ওই তালিকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে পাঁচজনের তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে একজন সমর্থক পৌরসভার ভোটার নন। তাই তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে জহিরুল ইসলাম বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা তার সমর্থকদের যাচাই করতে গিয়ে ধমকের সুরে কথা বলে ভয় দেখান। এতে সমর্থকরা বিভ্রান্ত হন এবং ভয় পান। অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি। অথচ তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। পরে অনেকে জমা দিলেও তাদের কাগজ যাচাই করা হয়নি। অথচ আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কর্মকর্তা। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হয়ে উনার এহেন আচরণ আমি একজন প্রার্থী হিসেবে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না।
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ বলেন, জহিরুল ইসলাম প্রদত্ত ১০০ জন সমর্থক ভোটার তালিকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে পাঁচজনের তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে একজন সমর্থক পৌরসভার ভোটার নন। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।