সোমালিয়ান জলদস্যুদের মত গণতন্ত্র লুট করেছে আ. লীগ

3

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সোমালিয়ান জলদস্যুরা যেভাবে গভীর সমুদ্রে জাহাজ লুট করে ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগও বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার লুট করেছে। আওয়ামী লীগের কবল থেকে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে ডান-বাম ও মধ্যপন্থী দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দলকে একই মোহনায় মিলিত হয়ে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। তিনি গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর হালিশহর তাসপিয়া কনভেনশন হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের সার্বিক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারে নাই বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারও পারবে না। সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। বিএনপি আরো বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। রিজার্ভ সংকট কাটাতে বিদেশিদের কাছে সরকার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া ও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক এডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মনির তালুকদার ও জামসিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তরুণ নেতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির আহব্বায়ক আহছানুল কবির রিপন তালুকদার, সদস্য সচিব আলমগীর হোসাইন ঠাকুর, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আজমত আলী বাহাদুর, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল ওহাব কবির, আশরাফ উদ্দীন জনি, মাস্টার আবুল কাশেম, আবু সুফিয়ান সুজন, শফিকুল আলম, আকবর ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষুকে ভয় করি না। এদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে আমাদের সকলের সব কিছুতে সমান অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো। স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আমরা অবশ্যই করবো। খবর বিজ্ঞপ্তির