সেলুনে দাড়ি কামানোর নতুন অভিজ্ঞতা সচিনের

122

উত্তর প্রদেশের বানবারিতলা গ্রামের দুই মেয়ে নেহা ও জ্যোতির অবিশ্বাস্য গল্প নিয়ে তৈরি একটি বিজ্ঞাপন এখন অনলাইনে ভাইরাল। অসুস্থ বাবার সেলুন টিকিয়ে রাখতে ছেলের ছদ্মবেশে তারা হাতে নিয়েছেন ক্ষুর-ব্লেড। আর তাদের কাছে দাড়ি কামানোর এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের। সেলুনই ছিল এই পরিবারের একমাত্র রোজগারের পথ। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তাদের বাবা, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেড়ে যায় অভাব-অনটন। বাবার চিকিৎসা, পরিবার ও পড়াশোনার খরচ চালাতে কোনও উপায় না দেখে সেলুনে নাপিতের কাজ শুরু করেন জ্যোতি ও নেহা। যে পেশায় শুধুই ছেলেদের আধিপত্য সেখানে জায়গা করে নিতে ছদ্মবেশ ধারণ করেন তারা। এমনকি নামও বদলে ফেলেন তারা, জ্যোতি হয়ে যান দীপক আর নেহা হন রাজু। চারপাশ থেকে কম কথা শুনতে হয়নি দুই বোনকে। কিন্তু সব বাধা উতরে এখন তারাই পরিচিতি পাচ্ছে ‘বারবার শপ গার্লস’ নামে।
শুক্রবার এই দুই বোনের সেলুনে গিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। তাদের কাছ থেকে দাড়ি কামান মাস্টার ব্লাস্টার। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি, লিখেছেন, ‘আপনারা হয়তো এটা জানেন না, কিন্তু আমি আগে কখনও অন্য কারও কাছ থেকে শেভ করিনি। আজ সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো। তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারা ছিল সম্মানের।’ তাদের শিক্ষা খরচ ও কর্ম চাহিদা মেটাতে জিলেট বৃত্তিও প্রদান করেছেন টেন্ডুলকার। এই পোস্ট অনলাইনে শেয়ার করার পর ভাইরাল হয়ে গেছে, ৭ লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে এবং কমেন্ট হয়েছে শত শত। লিঙ্গ বৈষম্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৈরি জিলেট ইন্ডিয়ার ভিডিও প্রকাশের পর জ্যোতি ও নেহা ভাসছেন প্রশংসার সাগরে। ইউটিউবে প্রায় দুই কোটি ভিউ হয়েছে।
টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘আমি আশা করি অনেক শিশুই দেখবে কীভাবে নেহা ও জ্যোতি এবং তাদের গ্রাম তাদের দারুণ সাহসিকতা ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গৎবাঁধা বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’