সানশাইন গ্রামার স্কুল ফাইনালে আগামীতে আর খেলবেনা বন্দর!

5

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোচের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জেলা দলে সুযোগ না পেলেও স্কুল ক্রিকেটে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মাহির শাহরিয়ার (প্রিয়ম)। গতকাল তিনি ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান এবং ১০ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। তবে তার দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। বিসিবি আয়োজিত ইয়াং টাইগার্স আন্ত:স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সানশাইন গ্রামার স্কুল। গতকাল বাকলিয়াস্থ সিটি কর্পোরেশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা বন্দর স্কুলকে ২ উইকেটে পরাজিত করে। ৮ দলের নকআউট পদ্ধতির এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা আজ মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে নাসিরাবাদ সরকারি স্কুল এর বিপক্ষে খেলবে।
২য় সেমিফাইনালে গতকাল টসে জিতে আগে ব্যাট করে বন্দর স্কুল ৪২.৪ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়। তাদের সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে মাহির শাহরিয়ার প্রিয়ম এর ব্যাট থেকে, অতিরিক্তও ৩৮। এ ছাড়াও ওয়াহিদ ৩৪, শাফায়েত ২১, মেহরাব ১৯ ও নূর অপরাজিত ১০ রান করেন। সানশাইনের ইব্রাহিম ও আরশাদুল ৩টি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সানশাইন গ্রামার স্কুল ৪৩.৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের টপ অর্ডারে আরশাদুল (০১), ইমরান (০৯) ও আওসাফ (০৯) সুবিধা করতে না পারলেও মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ফরহাদ (৩১), আদিল (৪৫), মাহির (২৫) ও আহনাফ (১৬) এবং শেষের দিকে ইব্রাহিম (৬), ইমরান (০৮*) ও আওয়ান খান (০১*) মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলকে জয় এনে দেন। বন্দরের পক্ষে ব্যাটিংয়ের মত বোলিংয়েও অসাধারণ ক্যারিশমা দেখান প্রিয়ম (১০-৩-১১-৪)। এ ছাড়াও শাফায়েত ৩টি ও মিনহাজ একটি উইকেট নেন।
এদিকে গতকাল এ ম্যাচে টিম সংশ্লিষ্ট আম্পায়ারের পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্দর স্কুলের কর্মকর্তারা। সানশাইন গ্রামার স্কুলে অবৈধ খেলোয়াড় খেলানো হয়েছে অভিযোগ করেছেন বন্দর স্কুলের কর্মকর্তারা। স্কুল সংশ্লিষ্ট কেউ না থাকা, অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা ছাত্র-অছাত্র বিবেচনা না করে টিমে খেলানো এবং সিজেকেএস কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই না করে যাকে-তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে কলেজিয়েট, মুসলিম হাইসহ সেরা স্কুলগুলোর মত আগামীতে আর এ ধরণের স্কুল ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, দেশের ক্রিকেটের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত স্কুল ক্রিকেট চট্টগ্রামের পরিচালনা নিয়েও কথা উঠেছে বিস্তর। প্রতিবার ১২টি টিম ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গ্রুপ লিগ খেললেও এবার ৮টি টিম নিয়ে নক আউট খেলা হয়েছে যা এ টুর্নামেন্টের স্পিরিট এর পরিপন্থী। এ ব্যাপারে সিজেকেএস ক্রিকেট সম্পাদক আবদুল হান্নান আকবর বলেন, মাঠ সংকটের কারণে এটি করতে হয়েছে। কিন্তু বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্স এর একজন কর্মকর্তা বলেন, পুরো রোজা মাস বন্দর স্টেডিয়াম খালি পড়ে ছিল। কিন্তু সিজেকেএস থেকে কোন পত্র আমরা পাইনি। তিনি একজনের হাতে ক্রিকেট জিম্মি না রেখে বিভিন্ন লিগ এবং টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি বা আহবায়ক করে সুষ্ঠভাবে ক্রিকেট পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আজ মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি থেকে পুরষ্কার বিতরণ করবেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।