সেনা-বিজিপি’র আরও ৪৬ সদস্য পালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে

10

বান্দরবান প্রতিনিধি

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সেনা ও বিজিপির আরও ৪৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এই ৪৬ জন পালিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজিবির কর্মকর্তা শরীফুল জানান, বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৬০ জন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে আছেন।
এর মধ্যে মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিলেন সেনা ও বিজিপির আরও ১৮ সদস্য। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন। রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির ১৪ সদস্য। আগে থেকে বিজিবি হেফাজতে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নিয়েছিলেন ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন; যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।