সীতাকুন্ডে বাম্পার ফলন পাহাড়জুড়ে যতদূর দৃষ্টি

67

যায়, শুধু শিম আর শিম

পাহাড়জুড়ে যতদূর দৃষ্টি যাবে, শুধু শিমের ক্ষেত চোখে পড়বে। চোখে পড়বে তপ্ত দুপুরে কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করার দৃশ্য। কেউ ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন, কেউ গাছ থেকে শিম তুলছেন। থোকায় থোকায় ঝুলছে বেগুনি রঙের শিম। এভাবে প্রতিদিন পরিশ্রমের ফসল চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সমতলের পাশাপাশি সীতাকুন্ড উপজেলার পাহাড়ে রূপবান শিম চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুন্ড উপজেলায় উৎপাদিত রূপবান শিমের দেশজুড়ে বেশ কদর। এখানকার পাহাড়ে উৎপাদিত শিম বাজারে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পাহাড়ের পাদদেশে অপেক্ষায় থাকেন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসা পাইকাররা। তারা সেখান থেকে শিম কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যান বিভিন্ন স্থানে। এ উপজেলা শিম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। রূপবান শিম ছাড়াও বিশেষ করে ছুরি, লইট্টা, বাঁটা শিমের চাহিদা বেশি। কিন্তু শিম সুস্বাদু ও লাভজনক হাওয়ায় দিন দিন এর চাষ বেড়ে চলেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৭৫ একর জমিতে রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে। চাষ করেছেন প্রায় ৩০০ কৃষক। বাঁশবাড়িয়া ও কুমিরায় বেশিরভাগ পাহাড়ি এলাকায় রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা ও সীতাকুÐ পৌর সদর এলাকায় রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে। শিম চাষি মনির আহম্মদ বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে পাহাড়ে রূপবান শিমের চাষ করেছি। এবার ১২০ শতক জায়গায় চাষ করেছি। এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। আরও ২-৩ মাস বিক্রি করতে পারবো। পাহাড়ে অনেক কষ্ট করতে হয়। অনেক পুঁজি লাগে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ ভাবে না।’ বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, ‘সমতলে জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষকেরা বাধ্য হয়ে পাহাড়ে চাষাবাদ করছেন।
এলাকার শতাধিক কৃষক পাহাড়ে রূপবান শিম চাষ করেছেন। এই শিম চাষে তারা লাভবান হয়েছেন। উপজেলায় এক মৌসুমে ২০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়।’ সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘রূপবান শিমে দীর্ঘসময় ফলন হয়। শীতকালীন শিমের চেয়েও দাম বেশি।