সীতাকুন্ডে পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলি, গ্রেপ্তার ৪

34

সীতাকুন্ডের সলিমপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি রোকন উদ্দিন প্রকাশ পিস্তল রোকনের চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪ টার সময় উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মালিকানাধীন বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ছলিমপুরের মীর আউলিয়া বাড়ির মৃত নুরুল আলম প্রকাশ মাঝির ছেলে মো. বাবলু প্রকাশ পিস্তল বাবলু প্রকাশ ইসহাক (৩৫), একই এলাকার কাজী পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল বারেক প্রকাশ পেয়ারু (৩৬), উত্তর ফকিরপাড়ার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ফাহিম ইসলাম (৩২) এবং উত্তর ছলিমপুর সিপাহীপাড়ার মৃত বদিউল আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।
জেলা ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবরে অভিযানে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানের আগেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি করা শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুঃস্কৃতিকারীদের ছোঁড়া বিক্ষিপ্ত গুলিতে ডাকাতদলের সদস্য মো. বাবলু ও আব্দুল বারেক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দু’জনসহ তাদের অপর সহযোগী রফিকুল এবং জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশে তৈরি পাইপগান, ১টি বন্দুক, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ এবং ঘটনাস্থল হতে ১টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করার তথ্য জানিয়েছেন জেলা ডিবি পুলিশ। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ দু’জনকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের আটক করে সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জানান, অভিযানের সময় সক্রিয় এ ডাকাত চক্রের অন্যতম সহযোগী রোকন উদ্দিন প্রকাশ পিস্তল রোকন আরো কয়েকজন সহযোগীসহ ঘটনাস্থল হতে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা তাদের পলাতক সহযোগীরাসহ পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম ও সীমান্তবর্তী জেলা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে পিস্তল বাবলুর বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৮টি, ফাহিম ইসলামের বিরুদ্ধে ১০টি, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ২টি এবং পলাতক আসামি রোকনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামি পিস্তল রোকনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।