সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের শতাধিক গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান

114

সীতাকুন্ডে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্য বাদী হয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তারা লিখেন কোন রকম আইনি প্রক্রিয়া না মেনে চেয়ারম্যান একক ক্ষমতাবলে এসব গাছ কেটে বিক্রি করছেন।
গাছ কাটার বিষয়ে এম. সেকান্দর হোসেন বলেন, যেখানে সরকার মুজিববর্ষ উপলক্ষে গাছ রোপণ করার কথা বলছে, সেখানে একজন চেয়ারম্যান হয়ে অহেতুক কিভাবে গাছ কাটে।
জানা যায়, উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে সাবেক চেয়ারম্যানদের লাগানো প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরোনা শতাধিক গাছ কেটে বর্তমান চেয়ারম্যান মুনির আহমেদ একক ক্ষমতাবলে বিক্রি করেছেন। এর আগেও এই চেয়ারম্যান একক ক্ষমতায় গাছ বিক্রি করেছিলেন। তখন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসি আন্দোলন শুরু করলে গাছ কাটা বন্ধ করেন তিনি। এরপরও ৪০ থেকে ৫০টি পুরোনা গাছ বিক্রি বাবদ পরিষদে যথাযথ মূল্য না দেখিয়ে নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করেন। আন্দোলনের মুখে তখন গাছ কাটা বন্ধ করলেও ঠিক একই কায়দায় গত কয়েকদিন ধরে নামমাত্র মূল্য তালিকা ও নিজস্ব ইজারাদার দিয়ে গাছ কাটা অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে কফিল উদ্দিনসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, অতীতে আমরা অনেক চেয়ারম্যান দেখেছি, এর মত স্বৈরশাসক চেয়ারম্যান দেখি নাই। শুধু খাই খাই ভাব। চেয়ারম্যান পরিষদের পুরুষ ও মহিলা সদস্যদের নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে যে কোন কার্যাদি সম্পর্ণ করার কথা থাকলেও এই পর্যন্ত করেনি। একইভাবে গাছ কাটা অথবা বিক্রির বিষয়ে আমরা জানিও না। শুনেছি নিজস্ব লোক মহিউদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম ও নাজিম মাত্র ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে গাছ কাটছে। একটি গাছের দাম যদি ১০ হাজার টাকা হয়, সেখানে ৮০টি গাছের মূল্য প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এর আগেও চেয়ারম্যান গাছ কাটতে চাইলে স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে কিছু গাছ কেটে পরে তা বন্ধ করে দেয়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিজনকে কমপক্ষে তিনটি গাছ রোপণের কথা বলেছেন সেখানে চেয়ারম্যান গাছ কাটছেন।
গাছ কাটার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুনির আহমেদ বলেন, আমি সরকারি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটছি। এখানে কোন রকম হের-ফের হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় কয়েকজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কোন রকম মিটিং ছাড়া একক ক্ষমতবলে চেয়ারম্যান গাছ কাটতে পারে না। আমি বিষয়টি তদন্ত করছি।