সীতাকুন্ডের সব অক্সিজেন প্ল্যান্টের অগ্নিনিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে কমিটি

27

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে ফায়ার সার্ভিস। ইতোমধ্যে সীতাকুন্ড উপজেলার প্রতিটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সীতাকুন্ড উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলালকে প্রধান করে গঠিত টিমটি গত মঙ্গলবার উপজেলার ছোট কুমিরা-বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন, মোহাম্মদ হারনুর রশিদ ও ফখরুদ্দিন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সীতাকুন্ড উপজেলার বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করেছি। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রতিষ্ঠান কৃর্তপক্ষকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করি।’
অপরদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের পর সীতাকুন্ডে অবস্থিত অন্যান্য অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে গত মঙ্গলবার জিপিএইচ কারখানার অক্সিজেন প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেছি। এরপর আমরা উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে আমরা কোন কারখানা অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও কোন কারখানা কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তার তালিকা প্রণয়ন করছি। তালিকাটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করবো।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাতজন মৃত্যুবরণ করেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গত্ব বরণ করেন আরো ৩০ জন।