সিপিডিতে আদৌ কোনো গবেষণা হয় কি-না

39

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) আদৌ কোনো গবেষণা হয় কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, বিশ্বের সবাই যখন বলছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ; তখন এই প্রতিষ্ঠানটি নেতিবাচক কথা বলছে। প্রতিবছর বাজেট পেশ হওয়ার পর বাজেটের নানা সমালোচনা করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে আদৌ কোনো গবেষণা হয় কিনা, এ নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে ফাতেমা বেগম রেড ক্রিসেন্ট বøাড সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, এমনকি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্বের সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না একটি পক্ষ। গত ১০ বছর ধরে বাজেট দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে বাজেটের নানা সমালোচনা করছে সিপিডি। সংস্থাটির ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবারও বাজেট পেশ হওয়ার পর সমালোচনা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ১০ বছর ধরে ভুল বাজেট দেওয়ার কারণে কি দারিদ্র্য ২০ শতাংশে নেমে এসেছে? ভুল বাজেট দেওয়ার কারণে কি মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ১৯০৯ ডলার হয়েছে? মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে যাওয়াও কি ভুল বাজেট দেওয়ার কারণে?
সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিপিডি কি বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণার চেয়েও ভালো? আমার সন্দেহ আছে ওই প্রতিষ্ঠানে আদৌ কোনো গবেষণা হয় কিনা, কোনো গবেষকও আছে কিনা?
তিনি বলেন, শুধু সিপিডি নয়, বিএনপিও সমালোচনা করেন। হ্যাঁ, অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা করুন। আমরা সেগুলো গ্রহণ করবো। কিন্তু এমন কোনো সমালোচনা করবেন না, যেটি হাস্যকর হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ হয়, যা পাকিস্তান ও ভারতে কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়েছে। আমাদের দেশের ডাক্তাররা অনেক বেশি মেধাবী। সব মানুষ যাতে দেশে চিকিৎসা সেবা নেন- এ বিষয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হওয়ার মাধ্যমে ৩ কোটি মানুষের নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সিটি ইউনিটের সেক্রেটারী আব্দুল জব্বার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম।
উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সিটি ও জেলা ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য মহসীন উদ্দীন ফয়সাল, আশেক মামুন, ফাতেমা বেগম রেড ক্রিসেন্ট রক্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন তাহের, ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের যুব প্রধান ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সাল, জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফ উদ-দৌলা-সুজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, রক্তদাতা ও সিনিয়র যুব সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বছরব্যাপী রক্তদানে অনন্য ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন কলেজ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অতিথিরা বলেন, কেউ রক্ত দেন টাকার বিনিময়ে। আবার কেউ কাকে রক্ত দেন, তা নিজেও জানেন না। আমাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা হতে হবে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট’র বড় কার্যক্রম রক্তদান। তাই সকলের উচিত এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।