সিএনজি উল্টে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু চকরিয়ায়

39

ঈদের জুতা কিনা হলো না নিশানের। এর আগেই ঘাতক সিএনজি কেড়ে নিল তার প্রাণ। ভাইয়ের সাথে একজোড়া স্যান্ডেল কিনতে চকরিয়ার বানিয়ারছড়া স্টেশনে যাচ্ছিলো লামা উপজেলার ফাইতং ছোবাহানিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. নিশান। কিন্তু বিধি বাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বানিয়ার ছড়া ঢালায় তাদের বহন করা সিএনজি গাড়িটি নজরে পড়ে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের। এসময় আকস্মিক ধাওয়া করে হাইওয়ে পুলিশ। পুলিশের কবল হতে বাঁচতে সিএনজি চালকও তার গতি বাড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়ায় সিএনজি গাড়িটি উল্টে যায়। এতে চাপা পড়ে যায় এতিম মোঃ নিশান (১৪)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিশানের। ১৭ মে (রবিবার) দুপুরে চকরিয়ার বানিয়ারছড়া ঢালায় ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত নিশান ফাইতং ৪নং ওয়ার্ড মহেশখালী পাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানায়, চকরিয়ায় অবস্থিত চিরিঙ্গা ও মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি প্রতিনিয়তই হাইওয়ে সড়ক থেকে সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সা গাড়ি আটক করে প্রতি গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছে। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোরশেদুল আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুরুতর।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ জানান, তার মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ নিশান (১৪) ভাইয়ের সাথে সিএনজি গাড়িতে করে জুতা নেয়ার জন্য বানিয়ারছড়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিশানের পিতা অন্যত্র বিয়ে করে সংসার পাতায় তার পিতা থেকেও নেই। কে নেবে এই নিরীহ নিশানের মৃত্যুর দায়ভার ? পুলিশ কি শেষ পর্যন্ত ঘটনার দায়ভার চালকের উপরই চাপাবে ?
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ সীতাকুন্ডের সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হাইওয়ে সড়কে সিএনজি চলাচল অবৈধ। এ দুর্ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী হতে পারেনা। তবে গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায় করে থাকলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।