সাতকানিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল হক সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভূঁইয়ার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অস্ত্র মামলায় রিদুয়ানুল হক সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর থেকে একবারও হাজির হননি আসামি সুমন।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারির সাতকানিয়া থানার একটি হত্যার মামলার সূত্র ধরে ওই বছরই ২৪ ফেব্রুয়ারি আমিরাবাদ হোটেল ওআইসি সামনে থেকে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, রেড গ্রিন সিলভার লেখা ২টি বোমা,৫টি চকলেট বোমা, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও দেড় লিটার অকটেনসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়। পরে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
আদালতে তারা স্বীকার করেন রিদুয়ানুল হক সুমনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ রয়েছে। এই গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন- মিজানুর রহমান, মোক্তার হোসেন ও মোহাম্মদ শহিদ। তারা এলাকায় ছিনতাই, মারামারি, জমি দখল, হত্যাকান্ডসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। মিজান ও মোক্তারের কাছ থেকে জব্দকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি এলজি ৮ হাজার টাকায় শহীদ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের রিদুয়ানুল হক সুমনের কাছ থেকে তারা কিনে নেয়।
এছাড়াও মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়- এই অস্ত্র ব্যবহার করে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা খন্দকার পাড়ার গোলতাজ বেগমকে গুলি করে হত্যা করে। গোলতাজ সম্পর্কে আসামি মোক্তার হোসেনের চাচী। আর এই হত্যাকান্ডে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তারা ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেন। এই ঘটনায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ এপ্রিল ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।